বাংলাহান্ট ডেস্ক : হতে চেয়েছিলেন খেয়া ঘাটের মাঝি, তার সাথে চেয়েছিলেন ছাপা অক্ষরে নিজের নাম বইয়ের উপর দেখতে। প্রথম স্বপ্নটি পূরণ না হলেও, দ্বিতীয় স্বপ্নটি পূরণ হয়েছে এই লেখকের। সাদাত হোসাইন (Sadar Hossain), বাংলাদেশের (Bangladesh) এই লেখকের সৃষ্টি আজ মাতোয়ারা করে রেখেছে দুই বাংলার পাঠককে।
সাদাত হোসাইনের (Sadat Hossain) উত্থান
জীবনের আক্ষেপগুলোই আনন্দ দেয় তাঁকে, একটি সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের অনুপ্রেরণার গল্প এভাবেই তুলে ধরেছিলেন লেখক। শীতকাল মানেই বাংলার বইপ্রেমী মানুষের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। তবে বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ২০২৫ সালের কলকাতা বইমেলায় থাকছে না বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন।
এই কারণে কিছুটা হলেও মন খারাপ বাংলার পাঠকদের। গত বছরও কলকাতা বইমেলার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের সামনে হাজার হাজার ভক্তকে নিজের স্বাক্ষর বিলিয়েছেন সাদাত হোসাইন (Sadat Hossain)। আগামী বছর কলকাতা বইমেলায় দুই বাংলার এই প্রিয় লেখক আসবেন কিনা সেটা এখনো জানা যায়নি। তবে সাদাতের বইয়ের চাহিদা যে অক্ষুণ্য থাকবে তা নিয়ে এক প্রকার নিশ্চিত সাদাত ভক্তরা।
আরোও পড়ুন : ‘আপনাকে দ্রাবিড়ের মতো দেখতে’! শোনামাত্রই হেসে ফেললেন চন্দ্রচূড়! প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বললেন…
১৯৮৪ সালের ২১শে মে বাংলাদেশের মাদারীপুরে জন্ম ‘গল্পকার’ সাদাত হোসাইনের। লেখক বা কবি নয়, সাদাত হোসাইন নিজেকে ‘গল্পকার’ হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আরশিনগর, অন্দরমহল, গহীনের গানের মতো একাধিক লেখার মাধ্যমে সাদাত জয় করেছেন পাঠকদের মন। শুধু বাংলাদেশ নয়, সাদাত হোসাইনের লেখার জাদু ছড়িয়ে পড়েছে এপার বাংলাতেও।
আরোও পড়ুন : আর জি কর আবহেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য সুখবর! নবান্নে নয়া প্রস্তাব ভবানী ভবনের
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করা সাদাত নিজের লেখক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বলতে গিয়ে একটি সাক্ষাতকারে বলেন, জীবনের আক্ষেপগুলো তখনই আনন্দে পরিণত হয় যখন স্বপ্ন সত্যি হয়। তবে স্বপ্ন যদি পূর্ণতা না পায় তাহলে আক্ষেপগুলো সারা জীবন দীর্ঘশ্বাস হিসাবে বয়ে নিয়ে যেতে হয়। আমি যা করে আনন্দ পাই সেটা বাস্তবে করার আনন্দটাই সবথেকে বড় এই পৃথিবীতে।
লেখকের (Writer) কথায়, আমাদের জীবনে আনন্দ নিয়ে করা কাজের সংখ্যা খুবই কম। যে কাজগুলো আমরা করতে বাধ্য হই সেগুলো করতে করতেই ফুরিয়ে যায় জীবন। আমি ভাগ্যবান যে আমি সেই কাজটাই করছি যে কাজ আমাকে আনন্দ দিচ্ছে। তাই ছোটবেলায় আমার যে আক্ষেপ ছিল, যে অপূর্ণ স্বপ্ন ছিল, সেগুলোই এখন আমাকে আনন্দ দেয়।