সরকারি প্রকল্পে রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আজকের নয়! বহুদিন ধরেই এই অভিযোগ নিয়েই বাংলাকে দুষছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার জন্য বাধ্য হয়ে একাধিক সরকারি প্রকল্পে টাকা দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এবার নিজের রাজ্যেই দুর্নীতি দেখলে অ্যাকশন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পচিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে এবার আরও কড়া হাতে রাশ ধরেছেন মমতা (Mamata Banerjee)।
‘জলস্বপ্ন প্রকল্প’ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা (Mamata Banerjee)
ধরে ধরে সমস্ত সরকারি প্রকল্পের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তাই এবার তাঁর নজরে জল চুরি। জলস্বপ্ন প্রকল্পে বেনিয়ম আটকাতে এবার আগাম টাকা দেওয়াই বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সাফ কথা, কাজ শেষে রিপোর্ট পেশ না করা পর্যন্ত কোনও টাকা দেওয়া হবে না। পাশাপাশি এদিন তিনি প্রশ্ন তোলেন এক ঠিকাদারকে কেন একাধিক বরাত দেওয়া হবে?
মেজাজ হারিয়ে রীতিমতো ধমক দেন আধিকারিকদের। আর সটান একসাথে শোকজ করার নির্দেশ দেন ২৩ জনকে। বহুদিন ধরেই ‘জলস্বপ্ন প্রকল্প’ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই উঠছে অভিযোগ। বলা হচ্ছে কল থাকলেও, জল নেই বহু জায়গায়। সোমবার PHE দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে জলস্বপ্ন প্রকল্পের কাজ নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি দাবি করেন তাঁর কাছে নাকি এই সংক্রান্ত মোট ১১ হাজার ২০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৫০০টি এফআইআর। এর পরই পিএইচই দপ্তরের আধিকারিকদের ধমক দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, একজন ঠিকাদারকেই কেন একসাথে এত বরাত দেওয়া হচ্ছে? কেনই বা কোনো পাম্প অপারেটর নিয়োগ করা হয়নি কেন?
আরও পড়ুন: মৃতরাও কেন ভোটার তালিকায়? মেজাজ হারালেন মমতা, এল বিরাট নির্দেশ
এখানেই শেষ নয় আরও, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, জল উঠবে না জানার পরেও কেন একাধিক জায়গায় কল বসানো হয়েছে? সেইসাথে তিনি অভিযোগ করেন একাধিক আধিকারিকরা নাকি ঠিকাদারদের সাথে হাত মিলিয়েছেন। তাই এবার থেকে জলস্বপ্ন প্রকল্পের টাকা নিয়েও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনিয়ম রুখতে এদিন তিনি স্পষ্ট জানান এবার থেকে কাজ শেষ করে যারা রিপোর্ট দেবেন শুধু তারাই টাকা পাবেন। কারচুপির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই এবার এমনই কড়া পদক্ষেপ নিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। অভিযোগ সামনে আসতেই এদিন দ্রুত পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। একসাথে ২৩ জন আধিকারিকের পাশাপাশি ৩৭৩ ঠিকাদার সংস্থাকে শোকজ করেছেন তিনি। এদিনের বৈঠকে একাধিক জেলাশাসকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে, দ্রুত এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে।