বাংলাহান্ট ডেস্ক : কখনো পাহাড় কেটে বানানো হয় রেলপথ, কখনো আবার সড়ক পথ। আবার কখনো কখনো দেখা যায় দুর্গম গিরি কান্তার মরু পেরিয়ে ছুটে চলেছে রেলপথ! গুহার ভিতর দিয়েও ট্রেন চলাচলের নজির রয়েছে। সবকিছু নেপথ্যে রয়েছে একটাই কারণ, আর সেটা হলো যোগাযোগ ব্যবস্থা। দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা মজবুত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী হলো রেলপথ প্রসারণ।
পামবান সেতুর (Pamban Bridge) নাম শুনেছেন?
সেক্ষেত্রে ভারতীয় রেলওয়ের স্থান অগ্রগণ্য। অবশেষে তৈরি হয়ে গেল দেশের প্রথম ভারটিকাল লিফট সি পামবান সেতু (Pamban Bridge)। ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে রামেশ্বরম এবং পামবান দ্বীপকে যুক্ত করেছে এই সি ব্রিজ। এই অত্যাধুনিক সেতুটি তৈরি করেছে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড। স্থাপত্যের অন্যতম নজির হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ২.০৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু।
ভারতে (India) এই প্রথম এবং বিশ্বের এই ব্রিজ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই সেতুটি তৈরি করা হয়েছে ভারতীয় এবং ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড মেনে। এই সেতুর ভিন্ন বৈশিষ্ট্য বলতে রয়েছে, ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল সিস্টেমের (Electro mechanical System) সঙ্গে ট্রেনের কন্ট্রোল মেকানিজমের মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে এই সেতুতে (Pamban Bridge)।
অত্যাধুনিক এই সিস্টেমের সহায়তায়, পামবাম সেতুর (Pamban Bridge) নীচে কোনও জাহাজ এলেই, সেটি নিজে থেকেই খুলে যাবে। নিচ থেকে জাহাজ চলে গেলে আবারো নেমে গিয়ে জুড়ে যাবে সেতুটি। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে এই সেতু। এই সেতুর জন্য বিদ্যুতের খরচ হবে খুব কম। উল্লেখ্য, এই সেতুটি তৈরি করার প্রাথমিক ডিজাইন তৈরি করা হয়েছিল ১৯১৪ সালে।
View this post on Instagram
পুরনো ব্রিজের গ্রাইন্ডারে সমুদ্রের জল লেগে জং ধরে গিয়েছিল। তবে নতুন তৈরি হওয়া এই ব্রিজে কিন্তু এই ধরনের কোন সমস্যা হবে না। ৫৩৫ কোটি টাকা খরচ করে এই ব্রিজের উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে। যার ফলে নতুন গতি পাবে পর্যটন শিল্প। এই সেতু দেখার জন্য তার উপর দিয়ে যাতায়াত করতে প্রচুর পর্যটনকারীরা ভিড় জমাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।