বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। তবে তাতেও কোনও সুরাহা হল না। ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হল। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখা হল।
হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জোর ধাক্কা খেল রাজ্য!
জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসকে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ২০ ডিসেম্বর থেকে আগামী ২৬ ডিসেম্বর অবধি টানা দিন রাতের ধর্নার অনুমতি দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। রাজ্য সরকার (Government of West Bengal) এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল। তবে তাতেও কোনও সুরাহা হল না। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে চিকিৎসকদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল।
রাজ্যের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, বড়দিনের আবহে কলকাতায় ভিড় হয়। সেই কারণে অন্তত ২৪ ডিসেম্বর এবং ২৫ ডিসেম্বর যেন ডাক্তারদের কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের মতে, আরজি করের ঘটনা অকল্পনীয়, নজিরবিহীন এবং ভয়ঙ্কর। এরপরেই সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল রেখে বলা হয়, ১০০ জন ডাক্তারকে নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়া যাবে।
আরও পড়ুনঃ BJP-তে যাচ্ছেন অধীর? রাখঢাক না করেই ‘সত্যিটা’ বলে দিলেন দিলীপ ঘোষ
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh) নির্দেশ দিয়েছিলেন, রোজ ২০০-২৫০ জন ধর্নায় বসতে পারবেন। ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে সেই সংখ্যাটা কমিয়ে ১০০ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে রাজ্যের তরফ থেকে আবার চিকিৎসকদের ২৫ ডিসেম্বর কর্মসূচি বন্ধ রেখে সেটা ২৭ ডিসেম্বর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ডাক্তাররা এই বিষয়ে সম্মত কিনা সেটা আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা সিবিআইয়ের কাছে যাক। সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের দাবি জানাক। এখন উৎসবের আবহে ডোরিনা ক্রসিংয়ের মতো জায়গা আটকে কেন ধর্না কর্মসূচি পালন করা হবে? সাধারণ মানুষের কি বড়দিন পালনের অধিকার নেই? মানুষের যাতায়াতের কেন সমস্যা হবে? যানজট তৈরি করে এই সময় কেন ধর্না?’ রাজ্যের তরফ থেকে অবিলম্বে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করার আবেদন জানানো হয়।
অন্যদিকে ডাক্তারদের সংগঠনের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য পাল্টা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বলেন, ‘কোথায় ট্র্যাফিক জ্যাম হচ্ছে? সিসিটিভি ফুটেজ এবং পুলিশের রেকর্ড থেকে আমরা দেখাতে পারি কোনও ট্র্যাফিক সমস্যা হচ্ছে না। ২৫ ডিসেম্বর মানুষ ধর্মতলায় নয়, পার্ক স্ট্রিটে যায়। সম্পূর্ণ মঞ্চ গার্ডরেল দিয়ে ঘেরা রয়েছে। কিছু লোক এসে দেখে চলে যাচ্ছে। এই ধর্না অবস্থান বড়দিনের জন্য আলাদা করে কোনও সমস্যা সৃষ্টি করছে না। শান্তিপূর্ণ ধর্না অবস্থান করা নাগরিকের মৌলিক অধিকার’।