বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজকাল ঘরে ঘরে রোগ বালাইয়ের সমস্যা। ডায়াবেটিস, সুগার, প্রেসার তো রয়েছে তার উপর গোদের উপর বিষফোঁড়া কিডনির (Kidney) সমস্যা। সাম্প্রতিক সময় দেখা যাচ্ছে, প্রায় অধিকাংশ মানুষই কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিন্তু মনে রাখবেন কিডনি রোগ হচ্ছে সাইলেন্ট কিলার। কখন, কিভাবে বিকল হয়ে যাবে বুঝতেই পারবেন না। এমনকি, যখন কিডনি রোগ ধরা পড়বে তখন হয়তো খুব দেরি হয়ে যেতে পারে। তাই চিকিৎসকদের মতে, প্রাথমিক পর্যায়ে এই লক্ষণগুলি দেখা দেওয়া মাত্রই সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত।
প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি (Kidney) রোগের লক্ষণ:
চিকিৎসকদের মতে কিডনি (Kidney) হচ্ছে আমাদের শরীরে অন্যতম একটি ছাঁকনি। কারণ এই একটি মাত্র অঙ্গ যে শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন পদার্থ বের করে আনতে পারে। ফলে শরীরের ব্লাড প্রেসার থেকে শুরু করে, হৃদরোগ, হরমোনের ভারসাম্য, পাকস্থলীর সুস্থতা সবই একা হাতে বজায় রাখে। তাই এই অঙ্গ অকেজো হয়ে গেলে গোটা শরীর বিকল হয়ে পড়ে। তাই কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা তা প্রাথমিক লক্ষণ দেখে সাবধান হয়ে যাওয়া উচিত।
কোন কোন লক্ষণ গুলি দেখা দিলে সাবধান হবেন:
১) প্রস্রাবের রং পরিবর্তন: যদি দেখেন হঠাতই প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হয়েছে তাহলে তা কিডনির (Kidney) সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি সঠিকভাবে প্রস্রাব না হলেও কিংবা প্রস্রাবের সময় রক্ত নির্গত হলে অবশ্যই সাবধান হয়ে যান। চিকিৎসকদের মতে, শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ নির্গত না হলে এমন সমস্যা স্বাভাবিক।
২) বমি বমি ভাব: চিকিৎসকদের মতে, কিডনি রোগের অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে বমি বমি ভাব। যেহেতু শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ গুলি নির্গত হতে পারে না। ফলে ঘন ঘন বমি দেখা দেয়।
আরও পড়ুনঃ পুরোই ফ্রি থাকা-খাওয়া-চিকিৎসা! শেষ জীবনের নিশ্চিত আশ্রয়স্থল! কোথায় পাবেন এমন সুযোগ?
৩) পায়ের পাতা ফোলা: কিডনি রোগের অন্যতম একটি লক্ষণ হচ্ছে পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া। শুধু পায়ের পাতা নয় একই সাথে আঙ্গুল, মুখ ফুলতে শুরু করে। চিকিৎসকদের মতে, ক্রমাগত এরকম হতে থাকলে অবিলম্বে চিকিৎসা করানো উচিত। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই লক্ষণটি আবার হৃদরোগেরও লক্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ কবে বেরোবে ২০২৩ সালের TET-র রেজাল্ট? বিরাট ঘোষণা করলেন পর্ষদ সভাপতি
৪) ত্বকের উপর প্রভাব: আপনার কিডনি (Kidney) যে অকেজো হয়ে পড়েছে, তা বোঝা যায় আপনার ত্বক দেখেও। রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় দূষিত পদার্থ জমা হতে থাকলে, লোহিত রক্তকণিকা সঠিকভাবে উৎপাদন হতে পারেনা। যার ফলে ত্বক, রুক্ষ, সূক্ষ্ম হয়ে পড়ে। উজ্জ্বলতা হারাতে থাকে, ব্রনর বাড় বাড়ন্ত দেখা দেয়।
৫) ওজন কমে যাওয়া: সবথেকে বড় যে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণটি হচ্ছে ওজন কমে যাওয়া। কোন এক্সারসাইজ ছাড়া কিংবা ডায়েট ছাড়াই যদি আপনার ওজন কমতে থাকে তাহলে সাবধান হওয়া উচিত। চিকিৎসকদের মতে, অকারণে ওজন কমে যাওয়া কিডনি (Kidney) রোগের লক্ষণ হতে পারে।