বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাতে আর এক মাসও সময় নেই, সামনের মাসেই রাজ্য জুড়ে শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষা। এই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য সরকারের তরফে জারি করা হচ্ছে একের পর এক নির্দেশিকা। কদিন আগেই মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট দেওয়ার দিনক্ষণ জানানোর পাশাপাশি পরীক্ষা চলাকালীন রাজ্যের শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের ছুটি সংক্রান্ত বড় ঘোষণা করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায় তার জন্যই ত্রিস্তরীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা নিয়ে করা হল বড় ঘোষণা।
মাধ্যমিক (Madhyamik) শুরুর আগে বড় ঘোষণা করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে গঠন করা ত্রিস্তরীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা এবছর দ্বিগুণ করা হচ্ছে। তিনটি কমিটিতে রাখা হচ্ছে মোট ৪১০ জন প্রতিনিধিকে। যা পরিসংখ্যানের বিচারে গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব সুব্রত ঘোষ জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই জেলা স্তরে এবং প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তাদের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। আলোচনার উপর নির্ভর করে যে জেলায় যে ধরনের সদস্য প্রয়োজন তারা তাদের ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত গত বছর থেকেই মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষা পরিচালনা করার জন্য তিন ধরনের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এগুলি হল ডিস্ট্রিক্ট নোডাল অ্যাডভাইজ়রি কমিটি (ডিএনএসি), ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (ইআরটি) এবং ডিস্ট্রিক্ট মনিটারিং টিম (ডিএমটি)। এখানে বলে রাখা ভালো ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং টিমের কাজ হল পরীক্ষার সাত দিন আগে থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত কাজ হয়েছে কিনা তা যাচাই করতে হবে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর আগে প্রত্যেকটি জেলার সাব ডিভিশন অনুযায়ী একজন করে সদস্য ছিল। এখন এই বছর থেকে তা বাড়িয়ে দু’জন করা হয়েছে। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এ প্রসঙ্গে নারায়ণ দাস বাঙুর মাল্টিপারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বরুয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে উচ্চমাধ্যমিকের তুলনায় মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একজন ডিএমটি দিয়ে সমস্ত বিষয় পরিচালনা করা কঠিন হয়ে উঠেছিল। তাই সদস্যসংখ্যা বাড়লে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে সুবিধা হবে।
আরও পড়ুন: মহাকুম্ভের এই সুন্দরী সাধ্বী কে জানেন? RG Kar কাণ্ডের সাথে কি যোগসূত্র তাঁর?
পাশাপাশি ইআরটি টিমের দায়িত্ব থাকে পরীক্ষা চলাকালীন কোনও পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে গেলে বা কোন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। অন্যদিকে ডিএনএসি টিমের কাজ হল পরীক্ষা চলাকালীন কনভেনরদের সব রকম ভাবে সাহায্য করা। কমিটিতে গত বছরের মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ২০৫ জন মত। এবছর সেই সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল এপ্রসঙ্গে বিস্ময় প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ‘২০২৫ সালের মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষা পরিচালনা করার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ত্রিস্তরীয় কমিটি করেছে, তার বহর দেখে অবাক হচ্ছি। কমিটিতে সরকারপন্থী শিক্ষক সংগঠনের ৪০০ জনের বেশি স্থান পেয়েছে। এটা মনে হচ্ছে কোনও যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে। আর এক্ষেত্রে একটা ব্যাপার পরিষ্কার হচ্ছে, আসলে সরকার নিজেদের সংগঠন ধরে রাখতে না পেরে এ সব কমিটির সদস্য হওয়ার প্রসাদ বিলি করে চলেছে।’