বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবার সেই আরজি কর (RG Kar)। এবার নিজের ঘর থেকে উদ্ধার করা হল এক তরুণী পড়ুয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ। জানা যাচ্ছে ওই তরুণী আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের এমবিবিএস ছাত্রী। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালের কোয়ার্টার থেকে শুক্রবার উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ।
আরজি করের (RG Kar) তরুণী চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে বিরাট শোরগোল
সূত্রের খবর, ওই তরুণীর মা একজন চিকিৎসক। কামারহাটির ইএসআই হাসপাতাল কর্মরত তিনি। আর যুবতীর বাবা মুম্বইয়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ কর্তা। কামারহাটির ইএসআই হাসপাতালে মায়ের কোয়ার্টারে থাকতেন ওই বছর ২০-র ছাত্রী। শুক্রবার রাতে ওই কোয়ার্টার থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর মৃতদেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ওই হাসপাতালের কোয়ার্টারে নিজের ঘরে একাই ছিলেন যুবতী। তাঁকে তাঁর মা বারবার ফোন করলেও তিনি সেই ফোন ধরেননি। এরপর মেয়ের খোঁজ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেই মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি। এরপর তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে আসছে সুখবর!
জানা যাচ্ছে যুবতী এমনিতে ছিলেন শান্ত স্বভাবের। সচরাচর কম কথাই বলতেন। কিন্তু আচমকা তাঁর কেন এমন পরিণতি হল তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই তরুণী নাকি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তবে এই তরুণী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে তরুণীর ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। তবে ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৯ আগস্ট আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃতদেহ। ওই ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় গর্জে উঠেছিল বাংলা। যদিও ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে আরজি করের আরও এক পড়ুয়ার মৃত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে।