বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর মামলায় এবার নতুন মোড়। ইতিমধ্যেই আরজি কর আর্থিক দুর্নীতির মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে সিঙ্গল বেঞ্চে ধাক্কা খেয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। তারপরেই তিনি দ্বারস্থ হয়েছেন ডিভিশন বেঞ্চে। ওই মামলার শুনানির আগেই এবার গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আজ উচ্চ আদালতের বিচারপতির জয়মাল্য বাগচি জানিয়ে দিয়েছেন এবার কলকাতা হাইকোর্টের কড়া নজরদারিতে চলবে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির বিচার প্রক্রিয়া।
R G Kar আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বড় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)
তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে জাস্টিস বাগচি আজ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সঠিক পদ্ধতি মেনে বিচার প্রক্রিয়া করতে গিয়ে যাতে বিচার প্রক্রিয়াই বিলম্বিত না হয়, সেটা আমরা দেখব।’ জানা যাচ্ছে আরজি করের এই আর্থিক দুর্নীতির মামলায় অব্যাহতি চেয়ে সন্দীপ ঘোষ, সুমন হাজরা, আশিস পান্ডে দায়ের করা মামলার শুনানি রয়েছে আগামী কাল অর্থাৎ শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায়।
আজ আদালতে (Calcutta High Court) জাস্টিস বাগচি জানিয়ে দিয়েছেন সিবিআই এর আইনজীবীদের সঙ্গে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনায় বসবেন। প্রয়োজনীয় নথি হাতে পাওয়ার পর থেকে চার্জগঠন এবং ডিসচার্জ পিটিশনের জন্য অভিযুক্তদের গ্রহণযোগ্য সময় দিতে হবে। একই সাথে আজ বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন ১ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তরা নথি পেয়েছেন,আর ৪ ফেব্রুয়ারি চার্জ গঠন। এক্ষেত্রে সময়সীমা বৃদ্ধি করার প্রয়োজন রয়েছে।
আরও পড়ুন: শুরু হয়েছে অসমাপ্ত কাজ! এবার কলকাতার হকাররা পাবেন ‘ভেন্ডিং সার্টিফিকেট’
জাস্টিস বাগচি এক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে বলেছেন, ‘ন্যায়বিচার দ্রুত করতে গেলে ন্যায়বিচার নাও হতে পারে।’ প্রসঙ্গত আরজি কর কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে প্রথমে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন আরজি করের নন মেডিকেল প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকান্ডের পর আরও একবার মাথাচাড়া দেয় সেই অভিযোগ।
কেঁচো খুঁড়তে কেউটের মত সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসতে শুরু করে একের পর এক ভয়ংকর সব দুর্নীতির অভিযোগ। চিকিৎসার সরঞ্জাম থেকে শুরু করে,টেন্ডার দুর্নীতি এমনকি মর্গের ডেডবডি নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, বর্জ্য পাচারেরও অভিযোগ ওঠে আরজি কর কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। গত বছর এই মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাকে। তার সাথেই গ্রেপ্তার হন সুমন হাজরা, আফসার আলি, বিপ্লব সিংহরাও।