বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘বেকারত্বের’ খোঁটা দিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে কেন্দ্র তথা বিরোধী শিবির। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েও। তবে এবার এই বেকারত্ব ইস্যুতেও সবার মুখে কার্যত ঝামা ঘষলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ নিউটাউনে বেসরকারির হাসপাতালের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
প্রায় ১০ হাজার কর্মসংস্থান হওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)
প্রকাশ্যে সেই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই তিনি বলেলন, ‘রাজ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার কর্মসংস্থান হবে।’ একইসাথে তিনি দাবি করলেন, ‘স্বাস্থ্যে বিপ্লব এনেছে রাজ্য সরকার। প্রায় ৯ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পান। বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট তৈরি হয়েছে। ১১৭টি ন্যায্য় মূল্যের ওষুধের দোকান খোলা হয়েছে।’ একইসাথে আজ মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ‘চোখের চিকিৎসার জন্য চোখের প্রকল্প-ও রয়েছে রাজ্যে।’
আরও পড়ুন:তুমুল কড়াকড়ি! আবাসের কাজ নিয়ে ফের নয়া নির্দেশ নবান্নের
নিউটাউনে দেবী শেঠির নতুন হাপাতালের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে গিয়ে আজ কর্মসংস্থান নিয়ে বড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এই কাজের জন্য সব ক্লিয়ার হয়ে গেছে। আগামীদিনে এখানে ১০ হাজার কর্মসংস্থান হবে। এখানকার কমিউনিকেশন খুব ভাল। এখানে অর্গান ট্রান্সপ্লান্ট করার ব্যবস্থা থাকবে। যা পূর্ব ভারত ও দেশে খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। এই হাসপাতালের জন্য মোট ১৫০০ কোটি টাকা লগ্নি হচ্ছে।’
রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও তিনি বললেন, ‘স্বাস্থ্যে আমাদের রাজ্য বিপ্লব এনেছে। আমাদের স্বাস্থ্যসাথী স্কিমের সুফল পায় বাংলার পরিবার। বাড়ির মহিলাদের নাম এই কার্ড হয়। এই কার্ডে কোনও শর্ত নেই।’ এরপরেই খরচের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানালেন, ‘এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের জন্য ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য।’ একইসাথে এদিন তিনি জানিয়েছেন প্রায় ৩২ হাজার শিশুকে ‘শিশুসাথী’ প্রকল্পে বিনামূল্যে অপারেশন করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষের চোখের চিকিৎসা করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।