বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। বহুক্ষেত্রে আদালতে ভর্ৎসিতও হতে হয়েছে। সম্প্রতি পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগে উচ্চ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলাতেই বুধবার বড় নির্দেশ দিয়ে দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh)।
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) যা হল…
মার্চের শুরু থেকেই শিরোনামে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে তেতে উঠেছিল ক্যাম্পাস। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হেনস্থা, পাল্টা তাঁর গাড়িতে এক ছাত্রকে ‘পিষে’ দেওয়ার মতো অভিযোগ ওঠে। এই যাদবপুরকাণ্ডের তদন্তের নামেই পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উদ্দীপন কুণ্ডু নামের এক পড়ুয়া।
ওই ছাত্রের অভিযোগ ছিল, তদন্তের নামে ডেকে হেনস্থা করছে পুলিশ। মোবাইল ফোন জমা দেওয়ার কথা বলছে। বুধবার উচ্চ আদালতের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে উদ্দীপনের আইনজীবী বলেন, মোবাইল ফোন ব্যক্তিগত ডিভাইস। সেখানে প্রচুর ব্যক্তিগত তথ্য থাকে, যেগুলি পাবলিক করায় আপত্তি রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ফের দলবদল করতে পারেন! ছাব্বিশের ভোটের আগেই শুভেন্দুকে নিয়ে তোলপাড় করা দাবি মমতার
সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকেও মোবাইলকে ব্যক্তিগত ডিভাইস হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয়টি তুলে ধরেন ওই ছাত্রের আইনজীবী। একইসঙ্গে বলেন, পুলিশের সব উত্তর দেওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁরা অসন্তোষের কথা বলছেন? ইচ্ছাকৃতভাবে হেনস্থা করতে এমনটা করা হচ্ছে। একজন পড়ুয়ার সঙ্গে কীভাবে এহেন আচরণ করা যায় সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সওয়াল জবাব শেষে বিচারপতি ঘোষ জানিয়ে দেন, পুলিশ যেভাবে এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে, সেভাবে চালিয়ে যেতে পারবে। এই মুহূর্তে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়। অর্থাৎ পুলিশি তদন্তে কোনও বাধা না দিয়ে যেভাবে তদন্ত চলছে, সেভাবে চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় আদালত।
এই বিষয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, ওই পড়ুয়ার নাম এফআইআরে রয়েছে। তিনি পড়ুয়া হলেও, কোনও রিলিফ দেওয়া হলে খারাপ বার্তা যাবে। উদ্দীপনের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি ঘোষ বলেন, আপনার মক্কেলের নাম এফআইআরে রয়েছে। তিনি অভিযুক্ত। এমতাবস্থায় আদালত কোনও ভাবেই এর মধ্যে ঢুকবে না।
তবে একজন পড়ুয়াকে যাতে মোবাইল জমা দিয়ে পড়াশোনার জন্য নতুন একটি ফোন না কিনতে হয়, পুলিশকে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গেই দু’পক্ষকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী এপ্রিল মাসে মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।