বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা। আগামী বছরই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন (WB Assembly Elections)। ইতিমধ্যেই সংগঠন মজবুত করতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। শুরু হয়েছে দলবদলের পালা। কয়েকদিন আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লা (John Barla)। তার রেশ কাটতে কাটতেই এবার জোড়াফুল শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন উত্তরবঙ্গের আরেক দাপুটে নেতা। বুধবারই অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে তৃণমূল ভবনে দলের পতাকা তুলে নেবেন বলে খবর।
তৃণমূলে (Trinamool Congress) নাম লেখাচ্ছেন কোন প্রাক্তন বিধায়ক?
উত্তরবঙ্গে ক্রমেই শক্ত হচ্ছে তৃণমূলের সংগঠন। জন বার্লার মতো হেভিওয়েট নেতার পর এবার তৃণমূলে যোগদান করছেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির প্রাক্তন বিধায়ক তথা দার্জিলিংয়ের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শংকর মালাকার। আজই তিনি রাজ্যের শাসকদলে নাম লেখাবেন। তৃণমূল সূত্রে এমনটাই খবর।
২০১১ সালে পালাবদলের আবহেও মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি কেন্দ্রে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন শংকর (Sankar Malakar)। ২০১৬ সালে ফের পুনরাবৃত্তি হয়। একুশের বিধানসভা ভোটে অবশ্য বিজেপির আনন্দময় বর্মণের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচন চলাকালীনই দেখা যাবে রিয়েল টাইম ভোটদানের হার! কীভাবে? বিরাট পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের
জানা যাচ্ছে, দার্জিলিং জেলা, বিশেষত শিলিগুড়ি মহকুমায় দীর্ঘসময় কংগ্রেসের (Congress) সংগঠন একা হাতে ধরে রেখেছিলেন এই প্রবীণ নেতা। এবার তিনিই তৃণমূলে নাম লেখালে শিলিগুড়ি মহকুমার গ্রামীণ অঞ্চলে শাসকদলের সংগঠন আরও মজবুত হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
শিলিগুড়ি পুরনিগম বর্তমানে তৃণমূলের (TMC) দখলে থাকলেও শিলিগুড়ি মহকুমায় তাদের সংগঠনের হাল খুব একটা মজবুত নয়। শিলিগুড়ি শহর সহ সংলগ্ন অঞ্চলে বিজেপির দাপট ক্রমেই বাড়ছে। এই আবহে শংকর যোগদান করলে তৃণমূল সেখানে পদ্ম শিবিরের ‘ঘাঁটি’ ভাঙতে সমর্থ হবে বলে আশাবাদী শাসকদলের নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে শক্তি বাড়াচ্ছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। জন বার্লার পর শংকর মালাকার দলে যোগ দিলে পাহাড়ে শাসকদলের সংগঠন অনেকটাই মজবুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভোটবাক্সে এর প্রভাব কতটা পড়ে সেটাই দেখার।