বাংলাহান্ট ডেস্ক : বোলপুর থানার আইসিকে কদর্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগে বড়সড় আইনি জটিলতায় ফেঁসেছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। শোনা যায়, একসময় তাঁর নামে বোলপুরে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত। কিন্তু গরু পাচার মামলায় জেলে থাকাকালীনই বীরভূমের জেলা সভাপতির পদ হারান তিনি। আর এবার জেল থেকে বেরিয়েও ফের বড়সড় বিপাকে পড়েছেন ‘কেষ্ট’। বিতর্কের মাঝেই এবার ডাকা হল বীরভূমের কোর কমিটির সদস্যদের বৈঠক।
অনুব্রত (Anubrata Mondal) বিতর্কের মাঝেই কোর কমিটির বৈঠক তলব
আগামী সপ্তাহেই বীরভূমের কোর কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। আগামী ১৪ জুন তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে তৃণমূল ভবনে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির পর বীরভূমের দায়িত্ব নিজে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই সংগঠনের কাজকর্ম দেখার জন্য একটি দল তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি।
তুলে দেওয়া হয়েছে জেলা সভাপতির পদ: এর আগে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) বীরভূমের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানোর পর সম্প্রতি ওই পদটাই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। সাংগঠনিক রদবদলে কোর কমিটির সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এই কোর কমিটিতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ছাড়াও রয়েছেন কাজল শেখ, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিনহা, বিকাশ রায়চৌধুরী, অভিজিৎ সিনহা, সুদীপ্ত ঘোষদের। এছাড়াও এই কোর কমিটির দুজন আমন্ত্রিত সদস্য হলেন অসিত মাল এবং শতাব্দী রায়। বর্তমানে অনুব্রত (Anubrata Mondal) বিতর্কের মাঝে এই বৈঠক ঘিরে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরো পড়ুন : সমাধিস্থলে গর্ত, ছড়িয়ে ছিটিয়ে মৃতদেহের দেহাংশ! রাতের অন্ধকারে কী চলছে নবদ্বীপ শ্মশানে?
আইনি বিপাকে অনুব্রত: প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয় যেখানে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে মা-বউ তুলে কুৎসিত গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছিল অনুব্রতর (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পরেই দলের তরফে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয় পদক্ষেপ করার জন্য। অনুব্রতর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল বোলপুর পুলিশ।
আরো পড়ুন : হাঁটু ছুঁইছুঁই নোংরা রক্ত মেশানো জল, দুর্গন্ধে টেকা দায়! ইদের পরদিনই নরক গুলজার পার্ক সার্কাস-চৌরঙ্গীতে
এদিকে দলের হুঁশিয়ারির পরেই প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেও শনি এবার রবি পরপর দুদিন হাজিরা এড়ান অনুব্রত। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। যদিও যে মেডিকেল রিপোর্ট তৃণমূল নেতার তরফে জমা করা হয়েছে তা নিয়েও হয়েছে বিতর্ক। তবে বুধবার পর্যন্ত বেড রেস্টের সময়সীমা পেরোতেই বৃহস্পতিবার পুলিশের সামনে হাজিরা দেন অনুব্রত মণ্ডল।