বাংলা হান্ট ডেস্ক: বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে মেলামেশা করতে দিত না বাবা, তাই ১৫ বছরের মেয়ে তার প্রেমিকের সাথে পরামর্শ করে খুন করল বাবাকে। মেয়ে পড়াশোনায় ফাঁকি দিয়ে প্রেম করুক, তা কখনওই চাননি তার বাবা। তাই এর শাস্তি হিসেবে এমন চরম পদক্ষেপ নিল নাবালিকা। পুলিশের কাছে কোন সংকোচ ছাড়াই অপরাধ কবুলও করেছে সে এবং জানিয়েছে নিজের ইচ্ছায় জীবন বাঁচতে বাবাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বেঙ্গালুরুর রাজাজিনগরের ১৫ বছরের মেয়েটি মেলামেশা করত প্রবীণ নামে এক কলেজ পড়ুয়ার সঙ্গে। ১৯ বছরের প্রবীণ তার স্কুলেরই কয়েক ক্লাসের সিনিয়র ছিল। স্কুলে পড়াকালীন তাদের আলাপচারিতা বাড়ে, ঘনিষ্ঠতা হয় এবং সেখান থেকেই প্রেম। কিন্তু সম্প্রতি মেয়েরে প্রেমালাপের কথা জানতে পেরে জান বাবা, এই নিয়ে মেয়েকে বকাঝকাও করেন তিনি। জানা গেছে, কাপড়ের ব্যবসা ছিল ওই ব্যক্তির, এবং এলাকাবাসীরা তাকে যথেষ্ট সম্মান দিত। ঘটনাচক্রে মেয়েকে বারবার বারণ করেছিল বাবা, কিন্তু মেয়ে কথা না শুনতে বদ্ধপরিকর, তাই বেল্ট দিয়েও মারধর করেন তিনি, মোবাইল ফোনও কেড়ে নেন।
যদিও এরপর প্রবীণ এই মেয়েটিকে লুকিয়ে একটি ফোন কিনে দেয়। এবং সেই ফোনেই বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে বাবাকে খুন করার পরিকল্পনা করে সে। গত সপ্তাহেই মেয়েটির মা পুদুচ্চেরি যান, এ সুযোগ নিয়েই বাবার দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাঁকে অচেতন করে দেয় নাবালিকা। এরপর বয়ফ্রেন্ড প্রবীণ কে সাথে নিয়ে বাবাকে ঘরে ঢুকিয়ে, ছুরি মেরে খুন করে সে। এরপরেও আশ মেটেনি মেয়ের বাবার গালে চড়িয়ে দেয় বেশ কয়েকটি থাপ্পর। তারপর দুজনে মিলে মৃতদেহ পুড়িয়ে তাদের কাজ শেষ করেন। ঘটনাচক্রে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। বাড়ি ফিরে মেয়েটির মা যখন সমস্ত ঘটনা জানতে পারেন, বাকরুদ্ধ হয়ে, ভেঙে পড়েন তিনি।