বাংলা হান্ট ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সব সময় দাবি করেন রাজ্যের কোষাগারে অভাব। এই নিয়ে নানাভাবে কেন্দ্র কেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি, অর্থের অভাবের জন্য মিড ডে মিলে খুদে পড়ুয়াদের ডিম দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাপাধ্যায়। অন্যদিকে, অর্থের অভাবের জন্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ঘোষণা হওয়ার পরও এখনো পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি পে কমিশনের রিপোর্ট পেশ করতে পারেনি ষষ্ঠ বেতন কমিশন। আর এই নিয়ে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মচারীদের এক বিরাট অংশ।
এর মধ্যেই, পুজো কমিটির অনুদানে কোন রকম কার্পণ্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ হাজার টাকার অনুদান তিনি এক লাফে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছেন আর তার পর থেকেই শুরু হয়েছে নানান বিতর্ক। দুর্গা পুজোর অনুদান এক লাফে দ্বিগুণের বেশি করে দেওয়ায় চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ বামফ্রন্ট।
দেখা যাচ্ছে ২৮ হাজার অনুমোদিত পুজো কমিটিকে ২৫ হাজার টাকা করে দিলে কমবেশি ৭০ কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্যের। অথচ মিড ডে মিল অথবা অথবা সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার সময় কোষাগারে টান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার পর অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, এই বর্ধিত করা যদি স্কুলের মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ করা হতো তাহলে উপকৃত হতে পারত রাজ্যের ৫০ লক্ষ গরিব ছাত্র-ছাত্রী। এই অর্থে অন্তত ৪ দিন পেট ভরে ডিম ভাত খাওয়ানো যেত।
বামেদের অভিযোগ, দুর্গোৎসবকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক ভোটব্যাংকে প্রভাব বাড়াতেই মুখ্যমন্ত্রী ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেছেন। এভাবে অর্থ বিলিয়ে আদতে সরকারের কোষাগারে ক্ষতি করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বামেরা। এই সিদ্ধান্তের পর সরকারি দফতরেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।