একেই বলে ভাগ্য! মাত্র একদিনেই লাখপতি থেকে কোটিপতি ৭০ বছরের বৃদ্ধা, চমকে দেবে ঘটনা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজকাল লটারির (Lottery) দৌলতে এক লহমায় লাখপতি থেকে শুরু করে কোটিপতি হয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। এমনকি, দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও এই ঘটনা সামনে আসছে। তবে, এবার, বর্তমান প্ৰতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একটি ঘটনার প্রসঙ্গ অবতারণা করবো যা নিঃসন্দেহে অবাক করে দেবে সবাইকে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি লটারির মাধ্যমে কয়েক লক্ষ টাকা জেতার পর এবার আমেরিকার (America) নিউইয়র্কের (New York) ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা এমন কাজ করেছেন, যে তিনি লাখপতি থেকে সরাসরি কোটিপতি হয়ে গেছেন।

পাশাপাশি, সকলেই তাঁকে অত্যন্ত “ভাগ্যবতী” হিসেবেও বিবেচিত করেছেন। জানা গিয়েছে, তিনি এক সপ্তাহান্তেই সর্বমোট চার মিলিয়ন ডলার জিতেছেন। এদিকে, তিনি প্রথমে জেতা এক মিলিয়ন ডলার পুরস্কার পাওয়ার পর বাড়ি ফেরার সময়ে ফের ভাগ্য পরীক্ষা করার জন্য একটি স্ক্র্যাচ অফ টিকিট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মূলত, নিউইয়র্কের একটি মার্ট থেকে কেনা ওই স্ক্র্যাচ অফ টিকিটটি তাঁর ভাগ্য পরিবর্তন করে দেয়।

রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান তিনি: প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ওই বৃদ্ধা তাঁর প্রথম পুরস্কার বাবদ ১ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার সংগ্রহ করতে গত অক্টোবরে লটারি সংস্থার সদর দফতরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি বাড়ি ফেরার পথে ডোভারের স্পিডি গ্যাস নামক একটি গ্যাস স্টেশনে থামেন এবং সেখানে থাকা টাইগার মার্ট পরিদর্শন করেন।

এমতাবস্থায়, সেই মার্ট থেকে একটি টিকিট কেনার সিদ্ধান্ত নেন ওই বৃদ্ধা। যেখান থেকে তিনি ফের ৩ লক্ষ ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা) পুরস্কার জেতেন। এদিকে, ওই বৃদ্ধা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু প্রথম পুরস্কারটি নেওয়ার জন্য তাঁর সাথে সদর দফতরে গিয়েছিলেন এবং যখন ওই বৃদ্ধা দ্বিতীয় পুরস্কার জেতেন তখনও তাঁর বন্ধু সাথেই ছিলেন।

GTY hundred dollar bills jt 141031 16x9 1600

রিটায়ারমেন্ট ফান্ডে অর্থ জমা করার পরিকল্পনা: বৃদ্ধাটি আরও জানান, “আমি স্থানীয় মার্টে টিকিট কেনার পরের দিন যখন ৩ লক্ষ ডলারের বিজয়ী টিকিটের দিকে তাকাই, তখন অবাক হয়ে যাই।” তিনি বলেছেন যে, এই বিপুল অর্থ তিনি তাঁর রিটায়ারমেন্ট ফান্ডে জমা করার পরিকল্পনা করেছেন। এই প্রসঙ্গে, ডেলাওয়্যার লটারির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলেন কিলি ওই বৃদ্ধাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন “এই বিরল ডাবল জয়ের জন্য ওই ভাগ্যবতী খেলোয়াড়কে অভিনন্দন ৷ খেলোয়াড়দের ছয় অঙ্কের পুরস্কার জিততে দেখে দারুণ লাগে।”


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর