দেখতে দেখতে করোনার থাবা বসিয়েছে এই দেশেও অর্থাৎ ভারতে। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা পার করেছে ৮ হাজার।বারাণসী শহরের গোলা দিনানাথের বাসিন্দা অশোক মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে কাজ করেন। করোনা পরিস্থিতিতে মুম্বাইতে লকডাউন ও স্থানান্তরের পরিপ্রেক্ষিতে হোটেলটি কুড়ি দিনের জন্য বন্ধ রয়েছে
আর এই পরিস্থিতিতে আর কোনও উপায় না পেয়ে পায়ে হেটে বারাণসী যাওযার সিদ্ধান্ত নেয় অশোক
। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাড়িতে ঠাই হয়নি।
সবার আগে , অশোক তাঁর তদন্তের জন্য বিভাগীয় হাসপাতাল কবিরচাউড়ায় পৌঁছেছিলেন। সেখানে তার পরীক্ষা না হওয়ায় তিনি দীনদয়াল হাসপাতালে পৌঁছায়। প্রায় ১৬০০ কিমি পায়ে হেটে বাড়িতে পৌছায়।
এখানে পরীক্ষা করার পরে চিকিত্সকরা তাকে 14 দিন পৃথক অবস্থায় বাড়িতে থাকতে নির্দেশ দেন। অবশেষে বাড়িতে পৌঁছে যাওয়ার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। কারণে তার মা দরজা খোলেন নি। অনেক বলার পরেও পরিবারের সদস্যরা তাকে ভিতরে আসতে দেয়নি। এর পরে, অশান্ত অশোক কাটুয়াপুরার দিদার বাড়িতে যান।
নভেল করোনা ভাইরাস ত্রাস এখন সবাইকে দিন রাত আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে মৃত্যু দূত হয়ে এসে পৌঁছেছে পৃথিবীতে। প্রায় সব দেশ এখন করোনা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। দিন থেকে রাত আর রাত থেকে দিন যে কখন চলে যাচ্ছে টা বোঝার উপায় নেই। কারণ বিপদ থেকে বাঁচতে এখন সবাই গৃহ বন্দী। কিন্তু তার থেকেও বেশি মানুষ আতঙ্কিত। আর এ এমনই বিষয় যার সুরাহা নেই।