বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিশ্ব উষ্ণায়নের (Global Warming) জেরে ভূগছে গোটা বিশ্ব। কোথাও গলছে হিমবাহ তো কোথাও সূর্যের প্রখর দাবদাহে অতিষ্ঠ আম জনতা। তার সাথে বোনাস হিসেবে রয়েছে ‘আরবান সাবসিডেন্স’-র সমস্যা। এসব নিয়ে বড় সংকটের মুখে বাংলাদেশ (Bangladesh)। ভূতত্ত্ববিদরা বলছে, আগামি এক দশকের মধ্যেই তলিয়ে যাবে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা।
তবে এখানেই বিপদ শেষ হবেনা। ভূতত্ববিদ এবং বিজ্ঞানীদের ধারণা, আগামী দিনে এই সমস্যা আরও বাড়বে। গত ৩০ বছর ক্রমাগত বেড়ে চলেছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। প্রতিবছর প্রায় ৩.৮ থেকে ৫.৮ মিলিমিটার করে বাড়তে থাকছে সমুদ্রের দখল। এইভাবে চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের অনেকটা এলাকা সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে সেদেশের ভূ বিজ্ঞানীরা।
Geomorphologist ড. সুজীব কর এইদিন জানিয়েছেন, আগ্রাসী সমুদ্র যেভাবে ফুলেফেঁপে উঠছে তাতে করে সুরক্ষিত নয় ঢাকাও। বন্দরনগরী চট্টগ্রামও নিরাপদ নয়। এই প্রখ্যাত ভূতত্ত্ববিদের কথায়, ‘যে হারে সমুদ্রর জলের উচ্চতা বাড়ছে তাতে আমাদের গবেষণায় আগামী ১০ বছরেই বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূল অঞ্চল থেকে ৭৩ কিলোমিটার এলাকা তলিয়ে যাবে। এবং তার পরের ১০ বছরে তলিয়ে যাবে আরও ৬০কিলোমিটার পর্যন্ত অঞ্চল।’
আরও পড়ুন : বিরাট লক্ষ্মীলাভ কলকাতা মেট্রোর, গ্রিন লাইন চালু হতেই আয় বাড়ল তিন গুন
ভূতত্ত্ববিদরা জানাচ্ছেন, এতে কেবল বাংলাদেশেই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হবেন পশ্চিমবঙ্গের দুই ২৪ পরগণা, সুন্দরবন, হাওড়া, হুগলী এবং কলকাতাও। আগামী ১৫ বছরের মধ্যে কম করে হলেও জলের তল বাড়বে ১.৬৪ মিটার অবধি। এতে যেমন বাংলাদেশের মানুষজন বিপদে পড়বে তেমনই ঘর ছাড়া হবে প্রায় ৩৫ কোটি ভারতীয়ও। অন্যদিকে ‘ইনভায়রনমেন্টাল রিফিউজি’ হবেন প্রায় ২২ কোটি বাংলাদেশীও।
আরও পড়ুন : জল-রাস্তা নয়, ‘স্টার’ ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ! বহরমপুরে প্রতিশ্রুতি ইউসুফের
ভূতত্ত্ববিদদের কথায়, সমুদ্র যে কেবল আম জনতার বাসস্থান কেড়ে নেবেন তাই নয়, এপার বাংলা এবং ওপার বাংলা জুড়ে দেখা দেবে পানীয় জলের তীব্র সংকট। কারণ সমুদ্র তার দখল বাড়ানোর সাথে সাথে ভূগর্ভস্থ জলও লবণাক্ত হতে থাকবে। যার কারণে পানীয় জলের অভাবে ভূগবে সাধারণ মানুষ।