বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে অস্বস্তি কার্যত বাড়ছিল কেন্দ্র সরকারের। আর সেই কারণেই পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনতে আলোচনা-পর্যালোচনা শুরু করেছিল কেন্দ্র। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে পরামর্শ দিয়েছিলেন পেট্রোল এবং ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনতে। কার্যত আগে থেকেই জানা গিয়েছিল লখনৌতে ৪৫ তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী।
আর সাথে সাথেই এও শোনা যাচ্ছিল যে এ নিয়ে বিরোধিতায় সরব হতে পারে বিভিন্ন রাজ্য সরকার। কারণ রাজ্যে আয়ের অন্যতম মূল উৎস পেট্রোপণ্য থেকে আসা রাজস্ব। কার্যত যেমনটা আশঙ্কা ছিল তেমনই ঘটনা ঘটলো এই দিন। কেন্দ্রের এই পরামর্শের বিরুদ্ধে সরব হল বিভিন্ন রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শুধু অবিজেপি সরকারই নয় বিজেপি শাসিত বেশকিছু সরকারও এর বিরুদ্ধে রীতিমতো সরব হয়ে ওঠে। যার জেরে বাতিল হয়ে গেল প্রস্তাব।
তাই স্বাভাবিক ভাবেই এখনই দাম কমছে না পেট্রোল-ডিজেলের। এখানে জানিয়ে রাখি, ২০১৭ সালে যখন জিএসটি চালু করা হয়েছিল, তখনও মূলত রাজ্যগুলির আপত্তিতেই পেট্রোপণ্যকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এদিন জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক শেষে কেরল হাইকোর্টের একটি রায়ের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, “আদালতের নির্দেশে বিষয়টি এসেছিল আলোচনার টেবিলে। তবে কাউন্সিলের সদস্যরা স্পষ্টভাবে মত দেন এখনই জিএসটি-র মধ্যে পেট্রোল-ডিজেলকে চান না তারা। হাইকোর্টকে জানিয়ে দেওয়া হবে জিএসটি কাউন্সিল মনে করে, পেট্রোপণ্যকে জিএসটি-র আওতায় আনার এটা আদর্শ সময় নয়।”
আসলে বেশিরভাগ রাজ্যের দাবি, পেট্রোল-ডিজেলের এমনিতেই রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি কর পায় কেন্দ্র। এই মুহূর্তে, জিএসটির আওতায় এনে রাজ্যের করের পরিমাণ আরও কমবে। আর সেই কারণেই পেট্রোল ডিজেল জিএসটির অন্তর্ভুক্ত করতে চান না তারা।