বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস যেন দিনদিন দেশে বেড়ে চলেছে। দেশজুড়ে চলছে লকডাউন চলছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি দিয়েছে ধর্মীয় স্থানগুলোর দরজা খুলে দেওয়ার। এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) পশুপতিনাথ মন্দিরে (Pashupatinath Temple) ভক্তদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়টি বিবেচনা করে একটি বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দসৌরের এই বিখ্যাত মন্দিরে একটি সেন্সরযুক্ত ঘণ্টা বসানো হয়েছে, যাকে না ছুঁয়েই বাজানো যাবে । করোনা ভাইরাস মহামারীর কথা মনে রেখে, পশুপতিনাথ মন্দিরের দরজায় ওই সেন্সরযুক্ত ঘণ্টা রাখা হয়েছে, আপনি মন্দিরের দরজায় পৌঁছলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেজে উঠবে এটি। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর কোনও ঝুঁকিও থাকবে না।
সমাজকর্মী’ নাহরু খান জানান, ৩ দিন ধরে চেষ্টার পরে ওই বিশেষ ঘণ্টা তৈরি করতে পেরেছিলাম। তারপরই পশুপতিনাথ মন্দিরের প্রবেশদ্বারে সেটিকে ঝুলিয়ে দেন ওই সমাজকর্মী। আপনার শরীরে যেকোনও অংশ ওই ঘণ্টাটির নিচে নিয়ে গেলেই সেটি বাজতে শুরু করবে। সবচেয়ে বড় কথা এটাই দেশের মধ্যে প্রথম মন্দির যেখানে সেন্সর দেওয়া ঘণ্টা লাগানো হয়েছে।
MP: A man, Nahru Khan has installed contactless bell at Pashupatinath Temple, Mandsaur. He says "We listen to azan, so I thought clanging of bells should also be heard. It works on proximity sensor (able to detect presence of nearby objects without physical contact)". #COVID19 pic.twitter.com/bjY13EqZk6
— ANI (@ANI) June 13, 2020
নাহরু খান আরও জানান যে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া রুখতেই ওই ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিজের একটি অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে ওই সমাজকর্মী বলেন, “আমি যখন ওই মন্দিরে যাই তখন সেখান থেকে বলা হয় যে মন্দিরের ঘণ্টা বা অন্যান্য জিনিস স্পর্শ করা যাবে না, ফলে ঘণ্টা বাজাতে পারিনি আমি। কিন্তু ঠিক সেই সময়েই এক মসজিদ থেকে আজানের শব্দ কানে আসায় আমার মনে হল যে, মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি কেন শোনা যাবে না। তাই আমি এই সেন্সর দেওয়া বেল তৈরির কাজ শুরু করি যাতে ঘণ্টাটিকে স্পর্শ না করলেও সেটি বেজে ওঠে”।