৪ কিমি হেঁটে যেতে হয় স্কুলে, ১১ জন বাচ্চাকে নিজের টাকা দিয়ে সাইকেল কিনে দিলেন দরিদ্র শ্রমিক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই থাকেন যাঁরা অত্যন্ত পরিশ্রম করে সমস্ত আর্থিক প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে রেখে তাঁদের অনবদ্য সব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দুর্দান্ত নজির তৈরি করেন। বর্তমান প্রতিবেদনেও আজ আমরা ঠিক সেইরকমই এক জনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব। যিনি একজন দরিদ্র শ্রমিক হয়েও কর্ণাটকের (Karnataka) রায়চুর জেলার মালকান্দিনি গ্রামের দরিদ্র পড়ুয়াদের জন্য সাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য অর্থ সঞ্চয় করার লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন।

পাশাপাশি তিনি, ওই পড়ুয়াদের সাইকেল কিনে দিতেও সমর্থ হয়েছেন। আর এই বিরল নজির যিনি গড়েছেন তিনি হলেন অঞ্জিনিয়া যাদব। মূলত ওই গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতে হত। যার ফলে প্রবল সমস্যায় পড়তে হত তাদের।

A poor worker bought a bicycle for 11 students with his own money

এমতাবস্থায়, বিষয়টিকে গভীরভাবে পরিলক্ষিত করেন অঞ্জিনিয়া। পাশাপাশি, এই সমস্যার সমাধানের জন্য তিনি নিজেই উদ্যোগ নিতে শুরু করেন। দিনমজুরির কাজ করে তিলে তিলে করা সঞ্চয়ের মাধ্যমে তিনি ৪০,০০০ টাকা জমা করতে সক্ষম হন। তাঁর সেই কষ্টার্জিত অর্থের মাধ্যমেই তিনি পড়ুয়াদের ১১ টি সাইকেল উপহার দেন। এই বিষয়টি সামনে আসতেই সকলেই তাঁর এই মহৎ কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেছেন।

আরও পড়ুন: IPL থেকে ছিটকে যেতেই চোটের বিষয়ে বড় আপডেট দিলেন শামি, কি জানালেন তারকা পেসার?

কি জানিয়েছেন তিনি: বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে অঞ্জিনিয়া জানিয়েছেন, “আমি লক্ষ্য করেছিলাম আমার গ্রামের পড়ুয়ারা হেঁটে স্কুলে যাচ্ছে। আমি ভেবেছিলাম তাদের সাহায্য করা উচিত। তারপর আমি ছাত্রদের সাইকেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি প্রতিদিন আমার কাজ থেকে অল্প কিছু টাকা বাঁচাতাম। এইভাবে, আমি ৪০,০০০ টাকারও বেশি সঞ্চয় করেছি। টাকা সঞ্চয় করার পর, আমি দেবদুর্গা শহরে মোট ১১ টি সাইকেল কিনেছি এবং গ্রামের ১১ জন পড়ুয়াকে বিতরণ করেছি।”

আরও পড়ুন: আর ৪ টে নয়, এবার স্কুলে তাড়াতাড়ি ছুটি! বড় ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

তিনি আরও জানান, “পরিবহণের সুবিধা ছাড়া গ্রাম থেকে সরকারি স্কুলে যাওয়া পড়ুয়াদের পক্ষে খুবই কঠিন। পড়ুয়াদের সমস্যার সম্মুখীনও হতে হয়। রাজ্য জুড়ে লক্ষ লক্ষ শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কারণ কোনো পরিবহণ ব্যবস্থা নেই। তাই, আমি আমাদের গ্রামের স্কুল পড়ুয়াদের বিনামূল্যে সাইকেল দিয়েছি।”


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর