সমদ্রের জলকে পানীয় জলে রূপান্তরিত করতে কেনিয়ায় স্থাপিত হল সোলার প্ল্যান্ট

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জলের (Water) অপর নাম জীবন (Life), একথা আদিকাল থেকে শোনা যায়। তবে জলের সঞ্চয় নিয়ে বরাবরই মানুষ অসচেতন। এই কারণে বহুবার মনুষ্য সমাজকে জল সঙ্কটের সম্মুখীন হতে হয়। বিশ্বে জল সঙ্কট দূর করতে কেনিয়ায় (Kenya) এক অভিনব প্রযুক্তির উদ্ভাবন করা হল। সেখানে সোলার সিস্টেম (Solar System)
ব্যবহার করে সমুদ্রের জলকে পরিস্রুত করে পানীয় জলের উপযোগী করে তোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে কেনিয়ায় বসবাসকারী মানুষদের জীবনযাপনেও অনেক সুবিধা হয়েছে।

maxresdefault 67

কেনিয়ায় মাত্র ৪ শতাংশ ব্যবহারযোগ্য জল আছে। যা আসে নদী, লেক এবং পানীয় জলের মাধ্যমে। তাই এই সোলার পদ্ধতি ব্যবহার করে সেখানে আরও বেশি করে ব্যবহার উপযোগী জলের যোগান দেওয়া যাবে। পরিষ্কার জলের পরিষেবার জন্য সবচেয়ে বেশি লড়াই করে চলেছে গিভ পাওয়ার নামে একটি এনজিও। যাদের মূল লক্ষ্য সৌর বিদ্যুৎ প্রযুক্তি ইনস্টল করা। এবং এই পদ্ধতির সাহায্যে জলের সমস্যাগুলি মোকাবেলা করা। যার ফলে লাভবান হবে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পশু পাখি সকলেই।

কেনিয়ার কিয়ুঙ্গা (Kinguya) নামে একটি গ্রামে তাঁরা সর্বপ্রথম এই সোলার সিস্টেম ব্যবহার করে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে সমুদ্রের জলকে ব্যবহারপযোগী করে তোলা হয়। একদিনে প্রায় ৭০ হাজার লিটার জল পরিস্রুত করা হয়, যা একদিনে কমপক্ষে ৩৫ জন মানুষ ব্যবহার করতে পারবে। গিভ পাওয়ারের দাবী বিশ্বে প্রায় ২.২ বিলিয়ন মানুষ পরিস্কার জল ব্যবহার করতে পারে না। তাই তাঁদের কথা মাথায় রেখে তাঁদের এই প্রচেষ্টা। এই পরিষেবা ব্যবহার করে বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরা তাঁদের ব্যবহারের জল নিতে পারবে।

তাঁরা আরও জানায়, এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মধ্যে লবণ এবং খনিজগুলি ছাকনি দ্বারা জল থেকে পৃথক করা হয়। তবে যেহেতু তরল একটি অসমোটিক প্রক্রিয়া অতিক্রম করে যার, প্রাকৃতিক অবস্থার সাথে ছাকনি প্রতিটি দিকে সমান পরিমাণে জল, খনিজ এবং লবণ থাকে তাই প্রক্রিয়াটি স্থিতিশীল করতে প্রচুর শক্তি প্রয়োজন হয়। তবে এই পদ্ধতি প্রয়োগের পর অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থগুলো যাতে পরিবেশের কোন ক্ষতি না করে সেদিকটাও তাঁরা দেখছেন।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর