বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৯ এর ১৪ই ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার পর এটাই ভারতীয় জওয়ানদের উপর সবথেকে বড় হামলা। গত পরশু লাদাখের চীন সীমান্তে ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালায় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির জওয়ানরা। চীনের এই হামলায় শহীদ হন ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান। তবে ভারতের থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে চীনের। বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী চীনের ৪০ এর উপরে জওয়ান ভারতের পাল্টা হানায় খতম হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কমান্ডিং অফিসারও ছিল।
আরেকদিকে ভারতের শহীদ হওয়া জওয়ানদের মধ্যে বাংলার এক বীর সন্তানও ছিল। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বাসিন্দা রাজেশ ওরাং (rajesh orang) চীনের সেনাদের সাথে বীরত্বের সাথে লড়ে বীরগতি প্রাপ্ত করেছেন। গতকাল সেনার তরফ থেকে রাজেশের মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
২০১৫ সালে দেশ রক্ষার স্বার্থে সেনায় যোগ দিয়েছিল ২৬ বছর বয়সী (বর্তমানে) রাজেশ ওরাং। এবছরের সরস্বতী পুজোয় শেষবারের মতো বাড়ি এসেছিল সে। এরপর ছুটি পেলেও লকডাউনের কারণে আর বাড়ি এসে বাড়ির লোকের সাথে দেখার করার সৌভাগ্য হয়নি তাঁর। এবার বাড়িতে আসবে জওয়ান রাজেশ। কিন্তু পায়ে হেঁটে নয়, এবার আসবে কাঁধে চেপে। দেশের জন্য সর্বোচ্চ বলিদান দেওয়া রাজেশের খবর শুনে তাঁর বাড়ির মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
রাজশের ভাই জানান, ‘দাদার মৃত্যুর খবর সর্বপ্রথম তাঁর বোনকে দেওয়া হয়। এরপর প্রশাসনের তরফ থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়।” অভিজিৎ জানায়, আমরা দাদার মৃত্যুর বদলা চাই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বদলা নেওয়ার জন্য আবেদন জানাব।