বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো একে একে ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা সামনে আনছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে প্রথম ভুয়োর তালিকা, দেখা গিয়েছিল অনেকেই এক অথবা দুটি প্রশ্নের উত্তর করেই পেয়েছেন চাকরি। তাতেই শোরগোল পরে গেছিলো গোটা রাজ্যে। এবার প্রকাশিত হল দ্বিতীয় ভুয়োর তালিকা। আর তাতেই আরও তাজ্জব ঘটনা। সাদা ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বর ৫৩! বলেন কি! খবর প্রকাশ্যে আসতেই উধাও শিক্ষিকা।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত আসানসোলের (Asansol) জামুড়িয়ার এক স্কুলের শিক্ষিকা। আসানসোলের জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত বীজপুর নেতাজি শিক্ষা নিকেতন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের বাংলার শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। অন্যদিকে তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই রহস্যজনকভাবে উধাও জামুড়িয়ার ওই শিক্ষিকা।
বিদ্যালয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকে আর স্কুলে আসছেন না সেই শিক্ষিকা। বৃহস্পতিবারও তিনি আসেননি। এই বিষয়ে উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক সরোজ কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২০১৯ সালের পরে ওই শিক্ষিকা জামুড়িয়া বিজপুর নেতাজি শিক্ষা নিকেতন স্কুলে যোগদান করেন। তবে ওই শিক্ষিকা কী কারণে দ্বিতীয় দফায় ভুয়ো তালিকা প্রকাশের পরই আর আসছেন না, সেই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কিছু বলতে পারেননি। হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, স্কুল পরিদর্শক কিছু তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল সমস্ত স্কুলের কাছ থেকে। সেই তথ্যের উত্তর তারা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে জমা দিয়েছেন। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজেদের ওয়াবসাইটে ১৮৩ জন ভুয়ো শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করে। অনুরূপভাবে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দ্বিতীয় দফায় মোট ৪০ জন শিক্ষকের নামের তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। প্রথম ভুয়োর তালিকা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে নানা ঘটনার খবর শোনা যায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এর আগে ভুয়োর তালিকায় নাম আসার পর টুম্পারানি মণ্ডল নামের মেদিনীপুরের বাসিন্দা এক শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আর এবার রহস্যজনকভাবে উধাও আরেক শিক্ষিকা।