ভোটের ডিউটি পেতেই শুরু কান্না, ফেসবুক লাইভে হাত কাটলেন বীরভূম জেলা পুলিশের মহিলা কর্মী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: পেয়েছেন লোকসভা ভোটের (Lok Sabha election) ডিউটি। আর তাতেই ঘটেছে বিপত্তি। ফেসবুক লাইভে এসে অঝোরে কেঁদে কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন খোদ পুলিশেরই মহিলা কর্মী। পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন যে, বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে তাঁকে ডিউটি দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায়, কাঁদতে কাঁদতেই ফেসবুক লাইভে ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কাটালেন বীরভূম (Birbhum) জেলা পুলিশের ওই মহিলা পুলিশ কর্মী।

এদিকে, তিনি এটাও জানালেন যে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক। তবে, ওই ফেসবুক লাইভ দেখা গিয়েছে যে একজন মহিলা ছুটে এসে তাঁর হাত থেকে ব্লেডটি নিয়ে নেন। যদিও, তার আগেই তিনি বেশ কয়েকবার হাতে ব্লেডের খোঁচা দিয়ে ফেলেন। আর এই ঘটনাতেই স্বাভাবিকভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুলিশের অন্দরমহলে।

 A woman worker of Birbhum district police cut her hand on Facebook.
ছবিলা খাতুন

জানা গিয়েছে যে, দীর্ঘ দিন ধরেই বীরভূমে পোস্টিং রয়েছেন ওই মহিলা পুলিশকর্মী। তাঁর নাম ছবিলা খাতুন। তিনি সিউড়ি সাইবার ক্রাইম থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এদিকে কাজের পাশাপাশি একটি বৃদ্ধাশ্রমও চালান তিনি। যেটির নাম “ছবির স্বপ্নপুরি বৃদ্ধাশ্রম”। পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের কারণে ছবিলাকে বাঁকুড়ার ইন্দাসে ডিউটি দেওয়া হয়। যদিও, তিনি তাঁর ঊর্ধ্বতনদের মায়ের শারীরিক অবস্থার কারণ-সহ আরও বেশ কয়েকটি অসুবিধার কথা জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: “এটা চাকরিজীবীদের অধিকার”, আদালতের নির্দেশে মুখে হাসি ফুটল সরকারি কর্মীদের

তবে, তাঁর কোনো আবেদন শোনা হয়নি বলে অভিযোগ করেন ছবিলা। যার প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে ফেসবুক লাইভে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। এমনকি, তিনি এতটাই উত্তেজিত হয়ে পড়েন যে, লাইভ চলাকালীন হাতে ব্লেডের খোঁচা দেন। সেই সময়ে তখন তাঁর পাশে ফোনে বাজতে থাকে, “তুঝসে নারাজ নেহি জ়িন্দেগি, হয়রান হুঁ” গানটি। এদিকে, ফেসবুক লাইভেই একের পর এক অভিযোগ করতে থাকেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের “মনের মতো” কাজ না করার জন্য তাঁকে অসুবিধায় ফেলতেই পাঠানো হচ্ছে ভোটের ডিউটিতে।

আরও পড়ুন: চুনোপুঁটি USA-র কাছেও হার বাংলাদেশের! T20 বিশ্বকাপের আগে ল্যাজেগোবরে টাইগাররা

এমনকি, তিনি ফেসবুক লাইভে বেশ কয়েকজনের নামও নেন। তবে, এই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের তরফে এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি। যদিও, জেলা পুলিশের অন্দরের খবর অনুযায়ী ছবিলার ডিউটি বদল করা হয়েছিল। এমনকি, তাঁর জায়গায় অন্য এক জনকেও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, আচমকাই তিনি ওই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। এমতাবস্থায়, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন রয়েছে সেই বিষয়ে খোঁজ চলছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর