বাংলা হান্ট ডেস্ক: দিনভর মিষ্টির দোকানে কর্মচারীর কাজ। তাতে যা স্বল্প আয় তা দিয়েই কোনোরকমে চলছিল সংসার। একটা ৩০ টাকা মূল্যের কাগজের টুকরোই পাল্টে দিল ভাগ্য। এক সময় নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসারের সেই ছেলে রাতারাতি হয়ে গেলেন কোটিপতি। ৩০ টাকার লটারিতেই (Lottery) ভাগ্য ফিরল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিপিন রায়ের।
৩০ টাকার লটারিতে ভাগ্য বদল | Lottery
জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির রামশাই কাওয়াগাব এলাকার মিষ্টির দোকানে কাজ করেন বিপিন। চলতি সপ্তাহের বুধবারের ঘটনা। এইভাবে রাতারাতি যে ভাগ্য বদল হবে সে কথা কখনোই ভাবেনি বিপিন। গত তিন মাস ধরেই লটারি কাটছিলেন। তবে মাত্র ৩০ টাকায় কাটা একখানা লটারির টিকিটে যে তার জীবন একেবারেই বদলে দেবে সেকথা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি তিঁনি।
ভাগ্য ফেরানোর আশায় প্রায় তিন মাস ধরে লটারি কাটছিলেন। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। প্রতিবারই হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। তবে এবার যেন ভগবান মুখ তুলে চাইল। মাত্র ৩০ টাকার লটারিতে প্রথম বিজেতা হয়ে পুরস্কারে জিতলেন এক কোটি টাকা!
কোটিপতি বিপিন আনন্দে আত্মহারা। বললেন, “টিকিটটা মিলে গেছে শুনেই চোখ কপালে উঠে গেল! বারবার দেখে নিশ্চিত হলাম, হ্যাঁ, আমারই টিকিটে লেগেছে।” টিকিট মিলিয়ে একটুও সময় নষ্ট করেননি তিঁনি। সোজা ময়নাগুড়ি থানায় গিয়ে টিকিটটি জমা করেন।
বিপিনবাবু জানান, খুবই সাধারণ পরিবারের ছেলে তিঁনি। দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে দিন কাটছিল। তবে এবারে ঘুচবে অন্ধকার। তিঁনি জানান, লটারি থেকে প্রাপ্ত অর্থ তিঁনি প্রথমে ব্যাংকে টাকা জমা রাখবেন। কীভাবে ওই অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় সেই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে দেখবেন।
আরও পড়ুন: একঘেয়ে সর্ষের ঝালে বিরক্ত? চেখে দেখুন একেবারে অচেনা ইলিশের ননীবাহার, রইল সহজ রেসিপি
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আনন্দে আত্মহারা বিপিন ও তার পরিবার। বিপিনের ‘জয়ে’ খুশি পাড়া প্রতিবেশী থেকে শুরু করে স্থানীয়রাও। বিপিনের পরিচিত কেউ কেউ বলছেন, “সৎভাবে পরিশ্রম করে এমন ভাগ্যবান হওয়াটা তাঁর প্রাপ্য ছিল।”