বাংলাহান্ট ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের mamata banerjee) বাড়িতে ধুমধাম করে কালীপুজো হয়। এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী নন, বরং বাড়ির মেয়ের মতোই নিজে হাতে সমস্ত কাজ করেন। প্রচুর অতিথি সমাগম হয় এদিন। এবারে সেই তালিকায় নাম ছিল সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (sudipa chatterjee) ও ছোট্ট আদিদেব চট্টোপাধ্যায়ের (aadidev chatterjee)। মা ছেলেতে মিলে সেজেগুজে পুজোয় এসেছিলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছোট্ট আদিদেবের একটি ছবি শেয়ার করেছেন সুদীপা। দু হাত আদির কাঁধে রেখে মাস্কের আড়ালে হাসিমুখ মুখ্যমন্ত্রীর। খুদেও দিব্যি মায়ের দিকে তাকিয়ে পোজ দিয়েছে। সঙ্গে একটি ছোট্ট পোস্ট শেয়ার করেছেন সুদীপা।
তিনি লিখেছেন, ‘আদিও আমার মতো। বড়সড়ো মা কালীকে বেশ ভয় পেতুম। আদিও পায়। কালীঠাকুর দেখলেই চিত্তির… কিন্তু আশ্চর্য্যজনকভাবে, আদির ‘নতুন পিসির’ বাড়ীর ঠাকুর ওর ভালো লেগে গেল। বাচ্চাদের সাথে হুড়োহুড়ি, দৌড়াদৌড়ি, কাঁসোর বাজানো, পিসির হাত ধরে টানাটানি, প্রসাদ খাওয়া.. অনেকদিন এমনটা হয়নি…’
দিন দুয়েক আগেই ছেলেকে সোনার পৈতৈ পরিয়ে ট্রোলড হয়েছিলেন সুদীপা। তিনি লিখেছিলেন, ‘অনেকেই মনে করেন- উপনয়নের দিন পরা পৈতে,আসলে বর্ণবিভেদ ও অহংকারের জন্ম দেয়। কিন্তু,ব্যাপারটা ঠিক তার উল্টো। পৈতে- পৈতেধারীকে বারবার মনে করিয়ে দেয়,সমাজে তার ধর্ম (পুজো নয় কিন্তু? এখানে দায়-দায়িত্বের কথা বলা হচ্ছে) পালনের কথা। তার শিক্ষার কথা। তার বিদ্যার কথা। মানুষের মধ্যে তার বিদ্যার্জনের ফলে প্রাপ্ত শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা।’
পোস্টে উপচে পড়েছিল নেটিজেনদের কমেন্ট। তার মধ্যে অধিকাংশই তীব্র কটাক্ষে বিঁধেছেন সুদীপাকে। একজন লিখেছেন, ‘আপনার একটুও লজ্জা করে না নিজের প্রতিপত্তির প্রচার করতে.আজ সারা ভারতবর্ষের কোমর ভেঙে গেছে দীর্ঘ লোকডাউনে আর আপনি fb যেখানে এখন সব শ্রেণীর মানুষের সহাবস্থান সেখানে নির্লজ্জের মতো সোনার পৈতে দেখাচ্ছেন. গরিব ব্রাহ্মণরা 2 টাকার পৈতেও ভুজ্জিতে গ্রহণ করেন. ওটা তাঁদের প্রাপ্য, সম্মানের পাশাপাশি অহংকারেরও বটে. কিন্তু আপনি এভাবে ব্রাহ্মন সমাজকে অপমান করছেন. এতো ঔদ্ধত্ব তা কিসের?’
কিন্তু চুপ করে থাকেননি সুদীপা। যেখানে উত্তর দেওয়ার সেখানে সপাটে উত্তর দিয়েছেন তিনি। পালটা প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, মাঝরাত পর্যন্ত গয়নার দোকানে যারা লাইন দেয় তারা তাহলে কারা? নেতিবাচক মন্তব্য করতেই হবে?