বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউড ইন্ডাস্ট্রির তিন খানদের মধ্যে একজন আমির খান (aamir khan)। অভিনয় জগতে ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ নামেও পরিচিত তিনি। ফিল্মি কেরিয়ার থেকে ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্ক বহু কারণে একাধিক বার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন আমির। তবে এবার অভিনেতার দৌলতে লাইমলাইট কাড়লেন তাঁর বিশেষ দেহরক্ষী।
যেকোনো হেভিওয়েট তারকার কাছেই দেহরক্ষী রাখা জরুরি। কোনো বাক্য খরচ না করেই অতিরিক্ত উত্তেজিত অনুরাগী এবং সাংবাদিকদের ভিড় থেকে তারকাকে বাঁচিয়ে নিয়ে চলাই তাঁদের কাজ। কাজটা খুব একটা সহজ নয়। তবে যে পরিমাণ পারিশ্রমিক তাঁরা পান তাও উপেক্ষা করার মতো ব্যাপার নয়। অন্তত আমিরের দেহরক্ষী যুবরাজ ঘোরপড়ের পারিশ্রমিক শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।
নিজের কাজটা খুব ভালভাবেই জানেন যুবরাজ। ইন্ডাস্ট্রিতে আমিরের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে যথেষ্ট কড়া ভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ছবির সেট থেকে অন্যান্য যেকোনো ইভেন্ট, সবসময় ছায়ার মতো আমিরের পাশে পাশে থাকেন যুবরাজ। তাঁর নিরাপত্তার ফাঁক গলে একটা মাছিরও প্রবেশ করার সাধ্য নেই।
চিরদিনই শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দিতেন যুবরাজ। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে পড়ে কিছু স্বপ্ন আর পূরণ করা হয়নি তাঁর। এমনকি পড়াশোনাও শেষ করতে পারেননি তিনি। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই স্কুলের পাট চোকাতে হয়েছিল তাঁকে। রোজগারের আশায় একটি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীর চাকরিতে ঢুকেছিলেন যুবরাজ। কোনো রকমে কাটছিল দিন।
হঠাৎ করেই তাঁর জীবনে বড়সড় পরিবর্তন আসে। আমির খানের নিরাপত্তার দায়িত্ব পান তিনি। তারপর থেকেই বদলে যায় তাঁর জীবন। ভাল পারিশ্রমিকের পাশাপাশি আমিরের দৌলতে পরিচিতিও পেয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে অনেকেই নাকি তাঁকে হিংসা করেন বলেও জানিয়েছেন যুবরাজ।
তাঁর পারিশ্রমিকের পরিমাণ শুনলে অবাক হতে বাধ্য হবেন। আমিরের দেহরক্ষী হওয়ার জন্য বছরে ২ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পান যুবরাজ। দেশের বেশ কিছু বড় সংস্থার কর্ণধারের পারিশ্রমিকও এত বেশি না। অবশ্য একা আমির নন, অমিতাভ বচ্চন, সলমন খান, দীপিকা পাডুকোনের মতো তারকারাও নিজেদের দেহরক্ষীদের রাজার হালে রাখেন।