বাংলাহান্ট ডেস্ক: আপাতত ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’ এর সাফল্য পুরোপুরি উপভোগ করছেন আয়ুষ শর্মা (aayush sharma)। প্রথম ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ার পর দ্বিতীয় ছবিতেই ছক্কা মেরেছেন তিনি। IMDb রেটিংও রয়েছে ৭.৮। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ছবিতেই সলমন খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করে ফেলেছেন আয়ুষ। যদিও এর জন্য কম কটাক্ষ সইতে হয়নি তাঁকে। সলমনের ভগ্নীপতি বলেই নাকি এত খ্যাতি আজ আয়ুষের।
কিন্তু আসল গল্পটা একেবারেই অন্য। আয়ুষ জানান, আজ তিনি ভাইজানের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হলেও কেরিয়ারের শুরুর দিকে যথেষ্ট্র স্ট্রাগল করতে হয়েছে তাঁকেও। এমনকি একটা সময় ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসাবেও কাজ করেছেন আয়ুষ। ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছবিতে রণবীর কাপুর ও দীপিকা পাডুকোনের সঙ্গে নেচেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নিজের শুরুর দিনগুলোর স্ট্রাগলের কথা বলতে গিয়ে আয়ুষ বলেন, “মুম্বইতে যখন আমি কলেজে পড়তে এসেছিলাম তখন থেকেই আমার অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন ছিল। বিজ্ঞাপন বলুন কী টিভি শো বা বলিউড ছবিতে জুনিয়র আর্টিস্টের চরিত্র, সবের জন্যই আমি অডিশন দিতাম।”
সে সময়ে মেহবুব স্টুডিওতে ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’র শুটিং চলছিল। আয়ুষ তাঁর এক বন্ধুকে অনুরোধ করেন ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু কাজ জুটিয়ে দেওয়ার জন্য। সেই প্রথমবার তিনি রণবীর ও দীপিকাকে পারফর্ম করতে দেখেছিলেন সামনে থেকে। আয়ুষ আরো জানান, প্রথম বার ১৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি। তার মধ্যে থেকেও আবার ৩ হাজার টাকা কেটে ১২ হাজার হাতে ছিল তাঁর। বাবার কথায় সেই পুরো টাকাটাই সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে প্রণামী দিয়েছিলেন আয়ুষ।
ওই সাক্ষাৎকারেই অভিনেতা বলেন, “আমার এখনো মনে আছে, যখন আমার প্রথম ছবি মুক্তি পেল একটি বড় সংবাদপত্র লিখেছিল, ‘এরপর যদি অর্পিতা খান একটি কুকুরকেও বলিউডে লঞ্চ করতে চান তবে সলমনের সেটাও করা উচিত।’ আমার মনে হয়েছিল, ছবি সবার সামনে রয়েছে। সবাই নিজের মতামত প্রকাশ করতেই পারে। কিন্তু এর মধ্যে আমার স্ত্রীকে টেনে আনা কেন, আমি বুঝি না।”