বাংলাহান্ট ডেস্ক : পৌরসভার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি। পৌরসভার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই নতুন করে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার সকালে আবারও শুরু হয় ভাঙচুরের কাজ। আর্ট অর্ডার ঢুকিয়ে পুরোপুরি বাড়িটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan)।
শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) ভাঙা হচ্ছে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি
উল্লেখ্য, প্রথম বার বাড়ি ভাঙা শুরু হওয়ার সময় আপত্তি জানিয়ে হস্তক্ষেপ করে বোলপুর পৌরসভা। মূল বাড়ির গেটে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ভাঙচুরের কাজ। সেই তালা এখনো ঝুলছে। কিন্তু এবার পৌরসভার নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করেই ফের শুরু করা হয়েছে ভাঙচুরের কাজ। রবিবার সকালেই দেখা গিয়েছে, বাড়িটি পুরোপুরি ভেঙে ফেলার কাজ চলছে। অথচ এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে বোলপুর পৌরসভা।
কেন ভাঙা হচ্ছে বাড়ি: জানা যাচ্ছে, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক বাড়িটি ভেঙে ফেলে সেখানে তৈরি করা হবে বহুতল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan)। অধ্যাপক থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই প্রতিবাদ করেছেন। তাদের প্রশ্ন, একজন জাতীয় স্তরের শিল্পীর স্মৃতি রক্ষার্থে যদি প্রশাসন ব্যর্থ হয়, তবে শান্তিনিকেতনের ভবিষ্যৎ কী? অনেকেই আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে, কবিগুরুর শান্তিনিকেতনও (Shantiniketan) কি ঠিকাদারদের কবলে চলে যাবে?
আরো পড়ুন : অনুমতি বাতিল করেছিল সেনা! রেডরোডেই হবে ইদের নমাজ, আসরে নেমে জট কাটালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী
মুছে দেওয়া হচ্ছে স্মৃতি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শে তৈরি শান্তিনিকেতনে এই ‘আবাস’ বাড়িটির সঙ্গে জড়িয়ে দীর্ঘ ইতিহাস। ঠাকুর বাড়ির সংষ্কৃতি, ঐতিহ্য মিশে রয়েছে শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan)। কবিগুরুর পাশাপাশি তাঁর ভাইপো জগৎখ্যাত চিত্রশিল্পী তথা লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরও বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই স্থানের জন্য।
আরো পড়ুন : ‘ভিক্ষার বাটি নিয়ে আর ঘুরব না’, মুনিরের সঙ্গে বড় পরিকল্পনা শরিফের, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও বেনজির বার্তা
তার মধ্যে অন্যতম এই ‘আবাস’ নামক বাড়িটি। অবনীন্দ্রনাথের ছেলে অলকেন্দ্রনাথ ঠাকুর তৈরি করেছিলেন এই বাড়িটি। তিনি নিজেও এই বাড়িতে থেকেছেন। অবনীন্দ্রনাথের স্মৃতির উদ্দেশেই এই এলাকার নামকরণ করা হয় ‘অবনপল্লী’।