একুশের মহারণে লড়ছে না আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট!

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনে লড়ছেন, কিন্তু দলের কোন অস্তিত্ব নেই! এবার হয় নাকি? হ্যাঁ, খানিকটা এরকমই হল আব্বাস সিদ্দিকীর (Abbas Siddiqui) দল ISF-র। এবারের নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধলেও, নির্বাচনী কমিশনে কোন অস্তিত্বই নেই ISF-র। বিহারের রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিস পার্টির নাম এবং চিহ্ন নিয়েই তাঁরা নির্বাচনে কমিশনে নাম লিখিয়েছে।

বাংলা দখলের লড়াইয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি একক ভাবে লড়লেও, বাম- কংগ্রেস একসঙ্গে হাত ধরে লড়াইয়ে যোগ দিয়েছিল। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে সামিল হয় আব্বাস সিদ্দিকীও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কিছুটা আপত্তি থাকলেও, বামেরা আপন করে নিয়েছে ISF-কে। সেইমত কিছু জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ISF-র জন্য।

1614548095 ad

নির্বাচনের মাত্র কদিন বাকি। এরই মধ্যে জানা গেল আব্বাস সিদ্দিকীর দল ISF-র কোন অস্তিত্ব নেই নির্বাচন কমিশনে। এমনকি তাঁরা যে প্রতীকে লড়ছেন অর্থাৎ ‘খাম’ সেটাও নাকি অন্য দলের থেকে ধার করা। বিষয়টা খোলসা করেই বলি। বাংলা দখলের স্বপ্নে দল গড়লেও এখনও অবধি রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃতি পায়নি আব্বাস সিদ্দিকির ISF। সেই কারণে তাঁরা বিহারের রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিস পার্টির নাম এবং চিহ্ন নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ISF নামে কোন দল থাকছে না।

এবিষয়ে ISF-র তরফে জানা গিয়েছে, ‘দল গঠন করার পর নির্বাচন কমিশনে নাম নথিভুক্ত করা এবং তারপর প্রতীক জোগাড় করার মত অত সময় ছিল না তাদের হাতে। সেই কারণেই বিহারের দল রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিস পার্টির নাম-প্রতীক নিয়েই ISF প্রার্থীরা বাংলায় লড়ছেন। এবিষয়ে বাম-কংগ্রেস নেতারাও জ্ঞাত’।

ISF সভাপতি সিমুল সোরেন জানিয়েছেন, ‘আমাদের সঙ্গে বেশকিছু ছোট দলের জোট রয়েছে। যার মধ্যে রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিস পার্টি অন্যতম। তবে জানুয়ারী মাসে আমাদের দল ঘোষণা হওয়ার পর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট নাম নির্বাচন করা হয়। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে প্রতীক নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি বলেই রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিশ পার্টির প্রতীক খাম চিহ্নেই আমাদের প্রার্থীরা লড়বেন’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর