বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আদালতের কক্ষ ছেড়ে এবার রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। দিন কয়েক আগেই বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের এই প্রাক্তন বিচারপতি। এবার প্রধানমন্ত্রীর শিলিগুড়ির সভা থেকে ‘নো ভোট টু তৃণমূলে’র ডাক দিলেন তিনি। অভিজিৎবাবু বলেন, আমাদের শপথ নিতেই হবে যাতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে বিদায়ের পথ দেখিয়ে দেওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রীর শিলিগুড়ির সভা (Siliguri Rally) থেকে রাজনৈতিক ইনিংসের সূচনা করলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসীন একটি দল, তার নাম আমি মুখে আনতেও চাই না। কারণ এই দল সম্পূর্ণ দুর্বৃত্ত দ্বারা তৈরি। এই দুর্বৃত্তরা কম নম্বর প্রাপকদের টাকার বদলে চাকরি বিক্রি করেছে। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়ার রাস্তায় হেঁটেছে’। এরপর খাদ্য দুর্নীতির প্রসঙ্গও টেনে আনেন কলকাতা হাই কোর্টের এই সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি। তিনি বলেন, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী জেলে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা মেলার পর তার একাংশ তৃণমূল নেতাদের হাতে দিতে হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
অভিজিৎবাবু বলেন, নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) আসন্ন। এই ভোটেই ‘দুষ্কৃতিদল’কে শিক্ষা দেওয়ার কথা বলেন তিনি। প্রাক্তন বিচারপতির কথায়, ‘সেই শিক্ষা হচ্ছে তাঁদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে উৎখাত করতে হবে। দুর্বৃত্তদলটিকে বুঝিয়ে দিতে হবে, তোমাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। খাদ্য, শিক্ষা, আবাস দুর্নীতির মূল তাঁদের চোকাতেই হবে। আজকে ৪২টা আসনের লোকসভা আসনের নির্বাচন ঘোষণা হতে চলেছে, তাতে দুর্বৃত্তদের দল তৃণমূলকে একটা ভোটও দেবেন না। এখান থেকে শপথ নিয়ে যান, তৃণমূলকে একটা ভোটও নয় । ৪২-এর ৪২-টা আসনই আমাদের দখল করতে হবে, যাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল মুছে যায়’।
আরও পড়ুনঃ হঠাৎ ইস্তফা! পুলিশের চাকরি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়? জানেন কে এই IPS?
শিলিগুড়ির সভা থেকে ‘নো ভোট টু তৃণমূল’ ডাক দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গেও কথা হয় অভিজিৎবাবুর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথোপকথন হল? এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন তিনি। প্রাক্তন বিচারপতি জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খুব বেশি কথা হয়নি তাঁর। তবে পিএম মোদী (Narendra Modi) তাঁকে আশীর্বাদ করেছেন বলে জানান তিনি।
অভিজিৎবাবুর কথায়, ‘২-৩ দিন আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া একজন সাধারণ কর্মীর জন্য এটা ভীষণ অনুপ্রেরণামূলক। আজ মোদীজির বক্তব্য শুনে আমি অভিভূত’। গতকালের সভায় নিজের বক্তব্য রাখার পর অভিজিৎবাবুর দিকে এগিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। দু’জনে ফের একবার হাত মেলান। প্রধানমন্ত্রীকে ঝুঁকে সম্মান জানান হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, পিএম মোদী অভিজিৎবাবুকে বলেছেন, তিনি খুবই সাহসিকতার কাজ করেছেন।