ত্রিপুরা, গোয়ায় আধিপত্য বিস্তারের পর আরেকটি রাজ্য! এবার মেঘালয়ে যাচ্ছেন অভিষেক

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বছরের শুরুর দিকে গোয়া নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সৈকত রাজ্যে পদ্মঝড়েই ঢাকা পড়ে ঘাসফুল। তবে হাল ছাড়তে রাজি নয় তৃণমূল। ভিনরাজ্যে নিজেদের খুঁটি শক্ত করতে তাই এবার উত্তর-পূর্বেই মন দিতে চায় তারা। আগামী মাসেই তাই ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বছরই বিধানসভা নির্বাচন মেঘালয়ে। তাই আর আগেই ৩ এবং ৪ মে সেই রাজ্যে নিজেদের রণকৌশল ছকতে যাচ্ছেন অভিষেক, এমনটাই মত পর্যবেক্ষক মহলের।

একুশের ডিসেম্বর নাগাদ হঠাৎ করেই বদলে যায় মেঘালয়ের রাজনৈতিক ছবি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা মুকুল সাংমা ১১জন বিধায়ককে নিয়ে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। কংগ্রেস বিধানসভার স্পিকারের কাছে এই দলত্যাগি বিধায়কদের পদ খারিজের আবেদন জানালেও ফল মেলেনি কিছুই। ফলে ওই ১১ জন বিধায়কের কারণেই মেঘালয় বিধানসভায় আনুষ্ঠানিক ভাবেই বিরোধী দলের তকমা পায় তৃণমূল।

এবার তেইশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সংগঠনকেও আরও শক্তিশালী করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। আগে বহুবার ত্রিপুরা গেলেও এবার তাই মেঘালয় সফরের পরিকল্পনাই করেছেন ঘাসফুল শিবিরের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

ত্রিপুরায় তৃণমূলের হার হলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতি খানিক আলাদা মেঘালয়ে। উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল তৃণমূলই। তাই আগামী নির্বাচনকেই পাখির চোখ করছে তারা। মে মাসে অভিষেকের সফরের আগে মেঘালয় যাচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সব্যসাচী দত্ত। গোয়া ত্রিপুরায় কাঙ্ক্ষিত ফল মেলেনি এবার। কিন্তু জাতীয় দল হয়ে ওঠার লড়াইতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে এবার তেইশের বিধানসভা নির্বাচনে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জমতে চলেছে মেঘালয়ে, তা বলাই বাহুল্য।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর