বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিল্লিতে বিরোধীদের জোট INDIA-র সমন্বয় কমিটির বৈঠকে না গিয়ে ইডির ডাকে দিয়েছিলেন সাড়া। ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১১টা বেজে ৩৫। সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে ঢোকেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তারপর প্রায় ন’ঘণ্টা পর বেরিয়ে আসেন অভিষেক। টানা জেরায় খানিক ক্লান্ত।
সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি গোয়েন্দাদের ম্যারাথন জেরা (ED Interrogation) শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক। আর ঘটনাচক্রে তৃণমূল সাংসদের মুখে উঠে এল বাংলা হান্টের নাম। ‘ইডি সমনের পরই আপনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন, আপনি কী ভীত সন্ত্রস্ত’, বাংলা হান্টের এই প্রশ্নেই বড় বয়ান অভিষেকের।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে অভিষেক বলেন, ‘আমি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হইনি। কালকে ওই কেসের হেয়ারিং (শুনানি) ছিল। যেই কেস ফাইল হয়েছিল তিন মাস আগে। কালকে কেসটার হেয়ারিং ছিল, আমাকে নোটিশ পাঠিয়েছে ১০ তারিখ। গত সপ্তাহে এটা ঠিক হয় যে ১২ তারিখ হেয়ারিং হবে।’
আরও পড়ুন: মৌসুমি অক্ষরেখা ও নিম্নচাপের ডবল প্রহার! আজ রাজ্যের জেলা জেলা কাঁপাবে বৃষ্টি, সতর্ক থাকুন
নেতা আরও বলেন, ‘আমি আলাদা করে কাল আবেদন করিনি। আর হ্যাঁ আমি ভীত সন্ত্রস্ত নই, এটা আমার অধিকার। আমি কোর্টে যাব না আপনি বলছেন? কোর্টে গেলেই আমি ভীত সন্ত্রস্ত? আর কোর্টে না গেলে…. কোর্টে যাচ্ছেনা কেন এত ভয়! কিছু না করলে কোর্টে যাক।’ অভিষেকের সাফ কথা, ‘এসব বিরোধীদেরই বক্তব্য। ওদের কথা কিছু যদি না করে তাহলে কোর্টে যাক, এত ভয় কিসের। আর যেই আমি কোর্টে যাচ্ছি, বলছে কোর্টে যাচ্ছে কেন ভীত সন্ত্রস্ত! আমি কী করবো ওরা ঠিক করে দিক।’
এরপরই বিরোধীদের তোপ দেগে অভিষেক বলেন, ‘সিপিএম, কংগ্রেস, মানে বাংলার সিপিএম, কংগ্রেস আর বিজেপি এই তিনজনকে অনুরোধ করবো একটা বৈঠক ডাকুন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী করলে আপনারা খুশি হবেন একটা জয়েন্ট বৈঠক করুন। অতৃপ্ত আত্মা গুলো শান্তি পেলে আমি খুশি হব।
আরও পড়ুন: ‘একবার BJP ক্ষমতায় আসুক… সব পাল্টে দেব’, গোলামির কোনও চিহ্ন থাকবে না’, দিলীপের হুঙ্কার
প্রসঙ্গত, জানা গিয়েছিল মঙ্গলবারই ফের রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়ে আদালতের তরফে নতুন করে কোনও নির্দেশ দেওয়া না হলেও মিলেছিল ইডির আইনজীবীর তরফে মৌখিক প্রতিশ্রুতি।
ইডির আইনজীবী আদালতকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, মামলার রায় প্রকাশ্যে না আসা পর্যন্ত তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নতুন করে রক্ষাকবচ না মেলায় পুরোনো রক্ষাকবচের ওপর ভরসা রেখেই কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গতকাল ইডি হাজিরা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।