বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ শহিদ মিনার ময়দান সমাবেশ থেকে বিজেপিকে (BJP) বেনজির আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ২৯ মার্চ ছাত্র-যুব সমাবেশের আয়োজন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের ছিল। ইতিমধ্যেই এই সমাবেশ সফল করতে প্রচার শুরু করে শাসক দলের যুব ও ছাত্র ইউনিট।
এদিনের এই বিশাল জনসমাবেশ থেকে অভিষেক বলেন, ‘ভেবেছিলাম শহিদ মঞ্চে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসব। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে বাধ্যবাধকতা আছে। আজ ট্রেলার দেখালাম, আগামীতে দিল্লিতে আন্দোলন করব। গণতন্ত্রে শেষ কথা মানুষ বলে। কোর্ট বলে না। যে বিষয় নিয়ে আমরা আজ সভা করছি প্রতিটা বিষয় কেন্দ্রের কাছ থেকে ছিনিয়ে আনব। কেন্দ্রীয় সরকার দুটো লাড্ডু তুলে দিয়েছে বাংলার মানুষের হাতে।’
দুর্নীতি ইস্যুতে এদিন বিজেপিকে নিশানা করেন তিনি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক বলেন, ‘বিশ্বজিৎ কুণ্ডু কালনার প্রাক্তন বিধায়ক, যখন জানতে পারল দল টিকিট দেবে না, চলে গেল বিজেপিতে। নিজে থেকে বলেছে ৩ জনকে পরিবারের চাকরি দিয়েছে। বহাল তবিয়তে আছে, ক্ষমতা থাকলে শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্বশর্মা, বিশ্বজিৎ কুণ্ডুকে বহিষ্কার করে দেখান। মানুষ আমাদের জিতিয়েছে।’
অভিষেক এদিন আরও বলে, ‘সারদা থেকে নারদা, এখন গরু, সবার জন্য আইন এক হলে আমার জন্যেও তাই হবে। আমার নাম যদি কোনো জায়গায় যোগ থাকে শহিদ মিনার মঞ্চে মৃত্যুবরণ করবে। তৃণমূল একমাত্র দল অভিযোগ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেয়। মিথ্যে মামলা যদি দেয়, এক ডাকে অভিষেক ফোন নম্বরে কল করবেন। একজনও তৃণমূল সদস্যের গায়ে হাত পড়লে ছেড়ে কথা বলব না।’
রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের প্রসঙ্গও এদিন তুলে আনেন অভিষেক। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলায় ভোট প্রচারে এসে দিদি ও দিদি বলে, তখন মহিলা সম্প্রদায়কে অপমান করল, তাঁর পদের কী হবে। সুরাট কোর্টের জাজমেন্ট ও বি সি সম্প্রদায়ের আঘাত হয়েছে বলে যদি রাহুল গান্ধির সদস্য পদ খারিজ হয় তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর হবে না কেন। একমাসের মধ্যে কোর্টে গিয়ে রিপোর্ট দিন।’