ধুন্ধুমার ঠাকুরবাড়ি! মন্দিরে ঢুকতে না পেরে শান্তনুকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : জেলায় জেলায় জোর কদমে চলছে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি। এবার ঠাকুরনগরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সফর ঘিরে বেঁধে গেল তুলকালাম কান্ড। রবিবাসরীয় দুপুরে তপ্ত হল ঠাকুরবাড়ি। মতুয়া মহাসংঘের কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ, কালো পতাকা দেখালেন তৃণমূলের কর্মীদের (Trinamool Supporters)।

এই পরিস্থিতিতে ঠাকুরবাড়ির মূল মন্দিরে পুজো দিতে পারলেন না অভিষেক। বন্ধ করে রাখা হল মন্দির। পাশের মন্দিরে পুজো দিতে হল অভিষেককে। এই ঘটনায় ভীষণ ক্ষুব্ধ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে গেলেন অভিষেক।

এদিন তৃণমূল সাংসদ কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমি ৩ মাস পর ঠাকুরবাড়িতে আসব, দম থাকলে আটকে দেখাক।’ উত্তপ্ত মতুয়াগড়ে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তনু ঠাকুরকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘উনি যে বাড়িতে থাকেন, সেখানকার জলের ব্যবস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে তৃণমূলকে চমকাচ্ছেন সেই রাস্তাও মুখ্যমন্ত্রীর করে দেওয়া। চাইলে ভিড় ভেঙে মন্দিরে ঢুকতে ৫ মিনিট লাগবে। ধর্মকে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন শান্তনু ঠাকুর। মতুয়া-মাটিকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। আমার কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না, আমি পুজো যেতে এসেছিলাম।

abhishek

পাশাপাশি ধর্মকে সামনে রেখে রাজনীতি করার দিন শেষ, অভিষেকের কণ্ঠে শোনা যায় এই মন্তব্যও। তিনি বলেন,’ধর্মকে সামনে রেখে যাঁরা রাজনীতি করছে তাঁদের পতন অবধারিত।’ ঠাকুরবাড়িতে কলুষিত করেছেন শান্তনু ঠাকুর, এমনটাই দাবি করেছেন অভিষেক।

এদিন তৃণমূলের অভিযোগ, জোর করে ঠাকুরনগরের মন্দিরের ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় অভিষেকের কর্মসূচি উপলক্ষ্যে তৈরি হওয়া তোরণ। ভিতরে যাঁরা ছিলেন তাঁদের বলপূর্বক বের করে দেওয়া হয় বলেও খবর।

ভিতরে তখন মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বাইরে তুমুল বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁদের বের করে দিয়েছে।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর