দুর্যোগে উড়তেই পারল না চপার! শতাব্দী-শর্মিলার সমর্থনে অভিনব কায়দায় প্রচার তৃণমূল সেনাপতির

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাঁসফাঁস গরম শেষে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে স্বস্তির বৃষ্টি। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে, বৃহস্পতিবারেও তা চলছে। তবে এই দুর্যোগের কারণে প্রচারে বেরিয়ে বাধার সম্মুখীন হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন বীরভূম এবং পূর্ব বর্ধমানের দলীয় প্রার্থী শতাব্দী রায় (Satabdi Roy) এবং শর্মিলা সরকারের (Sharmila Sarkar) সমর্থনে সভা করার কথা ছিল তাঁর। তবে ঝড়বৃষ্টির কারণে চপার উড়তেই পারল না।

এদিন প্রথমে রামপুরহাটের বিনোদপুর ময়দান এবং তারপর কালনার বৈদ্যপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ মাঠে সভা করার কথা ছিল অভিষেকের। তবে আজ দুপুর ১২টা থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। সেই দুর্যোগের কারণে আটকে যায় তৃণমূল (TMC) সেনাপতির চপার। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করলেও সভার কাছে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে নামা যায়নি। যে কারণে সশরীরে জনসভায় হাজির হতে পারেননি তিনি। তবে অনুষ্ঠান কিন্তু বাতিল হয়নি। ভার্চুয়ালি সভায় যোগ দেন অভিষেক।

আজ শতাব্দীর সমর্থনে আয়োজিত সভায় অভিষেক বলেন, বিজেপি বলেছে, ক্ষমতায় আসলে তিন মাসের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে। এরপর একটি অডিও ক্লিপ শুনিয়ে তিনি বলেন, ‘কোচবিহারের জেলা কমিটির নেত্রী একথা বলেছেন। রাজ্য নেতৃত্বকে পাশে বসিয়ে তিন মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধের কথা বলেছেন। যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে চান, তাঁদের এই ভোটে কি জমি ছাড়া উচিত?’

আরও পড়ুনঃ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ! এবার CCTV ফুটেজ দেখাল রাজভবন, কী ঘটেছিল সেদিন?

এরপর বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ‘বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের একটা ভিডিও সামনে এসেছে। সেখানে বলছেন, যারা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের না নিয়ে যাঁদের নিয়ে গিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে এর কোনও যোগসূত্র নেই। বিজেপি প্রার্থী, যার সঙ্গে খোদ প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন, গঙ্গাধর কয়াল জানিয়েছেন, তিনি ২০০০ টাকার নিয়ে মিথ্যে মামলা করেছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে বিজেপি যাঁদের নিয়ে গিয়েছে, তাঁদের সাজিয়ে নিয়ে গিয়েছে। আমি বলছি না’।

অভিষেক এদিন দাবি করেন, শান্তিনিকেতনের বুকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ফলক থেকে তাঁর নাম মুছে দিয়েছে মোদী সরকার। তৃণমূল সেনাপতির কথায়, ‘বিজেপি নেতারা অশালীন শব্দবন্ধ ব্যবহার করছেন। তিন মাস ধরে মমতাকে অপমান করতে গিয়ে বাংলার মানুষদের অপমান করয়েছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মভূমি, বীরভূম জেলায় শান্তিনিকেতনে ওনার ফলক থেকে নাম মুছেছে জনবিরোধী মোদী সরকার। পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী নাম রয়েছে। এই জন্যই এরা বাংলা বিরোধী। এরা রবীন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দকে অপমান করেছেন’।

Abshiehk Banerjee rally

আজকের সভায় শতাব্দীকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়ে অভিষেক বলেন, ‘বিজেপিকে শিক্ষা দিতে আগামী ১৩ তারিখ রোদ এপুড়ে হোক, বৃষ্টিতে ভিজে হোক জোড়াফুলে ভোট দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন। শতাব্দী রায়কে জয়ী করুন। এরা আমাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চায়’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর