বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা ভোটে জমজমাট ঘাটাল! এই আসনে এবার মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছেন টলিউডের দুই নায়ক দেব এবং হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। রবিবার তৃণমূল প্রার্থী দেবের হয়ে প্রচার করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রোড শোয়ের পর ৩০ মিনিট মতো বক্তৃতা দেন তিনি। আর তখনই ফাঁস করেন এক বিস্ফোরক খবর! ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী কয়েকমাস আগে তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন, জানান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
গতকাল অভিষেক বলেন, ‘বিজেপি এখানে যাকে দাঁড় করিয়েছে, তিনি ৬-৮ মাস আগে আমার অফিসে এসেছিলেন’। তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ডের মুখে একথা শুনে হাসতে দেখা যায় পাশে দাঁড়ানো দেবকে (Dev)। অভিষেক আরও বলেন, ‘তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য এসেছিল। তবে আমি ঢুকতে দিইনি। দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সেটার সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। তাঁকে বলব, মিথ্যে বলো, তবে বেশি না’।
একদা তৃণমূল (Trinamool Congress) ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হিরণ বর্তমানে বিজেপির (BJP) অংশ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে খড়গপুরের বিধায়ক। যদিও অভিষেকের দাবি, সেখানে ’১০ পয়সার উন্নয়ন’ও করেননি তিনি। তৃণমূল ‘সেনাপতি’ বলেন, ‘২০২১ বিধানসভা ভোটে খড়গপুর থেকে জিতেছে। চলে যান খড়গপুরে। সেখানে ১০ পয়সার উন্নয়ন করেছেন কিনা সেটা দেখে আসুন। তিনি দেবকে হারাবে! আমি বলব, তুমি আগে খড়গপুর সামলাও, পরে ঘাটালের কথা ভেবো’।
আরও পড়ুনঃ হয়নি দেওয়াল লিখন! ছাগল বিক্রি করে অধীর ‘দাদা’র হাতে টাকা তুলে দিলেন গ্রামের গৃহবধূরা
২০২৩ সালের প্রথম দিকে হিরণের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার খবর সামনে এসেছিল। তৃণমূল দাবি করেছিল, অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে হাজির হয়েছিলেন খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক। এরপর তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের কোঅর্ডিনেটর সেই খবরে শিলমোহর দেন। অজিত মাইতি জানান, তাঁর সঙ্গেই অভিষেকের অফিসে গিয়েছিলেন হিরণ। এসবের মাঝেই সমাজমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে হিরণের একটি ছবি।
এরপর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেন হিরণ। এরপর সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, তিনি বিজেপিতেই থাকছেন। পাশাপাশি এও দাবি করেন, সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিটি আদতে নকল। তা ‘বিকৃত’ করা হয়েছে। গতকাল এই বিষয়টি নিয়েও সুর চড়ান অভিষেক। তিনি বলেন, ‘আমার ছবি যদি বিকৃত করা হতো, তাহলে তো আমি আগে পুলিশের কাছে যেতাম’।
এরপর সোজা সিসিটিভি ফাঁসের ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘আমি তো ঢুকতে দিইনি। তবে ও বলেছে, ‘আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে যাইনি’। আমি ফের বলছি, সংবাদমাধ্যমের কাছে আর একবার বলুক ‘আমি যাইনি’। আমিও তাহলে সিসিটিভি ফুটেজটা ছেড়ে দেব। তখনই বোঝা যাবে কত ধানে কত চাল!’