বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকাল দেশের নাম বদলানোর ইস্যু নিয়ে যখন তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশ, তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “দেশের নাম তো ভারত ছিলই। এটা আবার নতুন কী! আমরা তো বলিই – ভারত আমার ভারতবর্ষ, স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো। কিন্তু তাই বলে ত্যাগ করে দিতে হবে ইন্ডিয়া নামটা? সারা বিশ্ব তো ওই নামেই চেনে।”
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে নিজের বক্তব্য রাখার পর গতকাল শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বাস নেই যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয়। কেন্দ্রীয় সরকার বদলে দিচ্ছে ঐতিহাসিক সৌধ থেকে রাস্তা, শহর, রেলস্টেশনের নাম। কোন দিন দেখব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামও বদলে দিয়েছে।
কেন্দ্রের দেশের নাম বদলের সিদ্ধান্ত নিয়ে তৃণমূলের পাশাপাশি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের সব দলই প্রায় একমত। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের ২৪ ঘন্টা পর মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অভিষেকের মতে, ভারত বনাম ইন্ডিয়া বিতর্ক বিজেপির তৈরি করা একটি বিভ্রান্ত মাত্র।
আরোও পড়ুন : ৪৫ মহিলাকে এইভাবে ধর্ষণ, নৃশংস কাণ্ড স্কুল শিক্ষকের! শেষমেশ পড়ল ধরা, এবার ঠাঁই হল গারদে
এক্স (সাবেক টুইটার) (Twitter) প্ল্যাটফর্মে অভিষেক বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ মানুষের নজর জিনিসপত্রের আকাশ ছোঁয়া দাম, ব্যাপক মূদ্রাস্ফীতি, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা, বেকারত্ব, সীমান্ত বিরোধ ইত্যাদি বিষয় থেকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এই সব বিতর্ক উস্কে দিচ্ছে।
আরোও পড়ুন : ল্যান্ডার বিক্রমের পাশে রহস্যজনক অলো! নাসার ক্যামেরায় ধরা পড়ল বিরল মুহূর্ত
সাধারণ মানুষের কর্তব্য ডাবল ইঞ্জিন সরকার এবং জাতীয়তাবাদের নামে তাদের বুজরুকির মুখোশ খুলে দেওয়া। সম্প্রতি যে বিশেষ অধিবেশনের ডাক দেওয়া হয়েছে সেখানে বিরোধীদলগুলি দাবি জানাতে শুরু করেছে বেকারত্ব, মূল্য বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার।
INDIA vs BHARAT is just a distraction orchestrated by the BJP. Let's cut to the chase and hold the govt accountable for skyrocketing prices, rampant inflation, communal tensions, unemployment, border disputes and their empty rhetoric of Double Engine and Nationalism. #StayFocused
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) September 6, 2023
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী বুধবার এই বিষয়ে চিঠিও লিখেছেন নরেন্দ্র মোদিকে। সনিয়া গান্ধী বলেছেন, এই বিশেষ অধিবেশনের প্রধান এজেন্ডা কী তা সরকার বিরোধীদের জানায়নি। এই অধিবেশনে আলোচনা করা হোক মূল্যবৃদ্ধি, মণিপুর পরিস্থিতি, বেকারত্ব, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিষয়গুলি নিয়ে।