বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আদালতের কক্ষ থেকে রাজনীতির ময়দানে পা রাখার পর থেকে একের পর এক তোপ দেগে চলেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। নিত্যদিনই তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধোনা করতে দেখা যায় তমলুকের বিজেপি প্রার্থীকে। এবার যেমন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) একহাত নিলেন তিনি।
ভোটের আবহে জনপ্রিয় একটি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রাক্তন বিচারপতি। সেখানে তিনি বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যেবাদী একটা… একটা মিথ্যেবাদীর বাচ্চা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেছেন আমি তার ওপর নির্ভর করে কোনও উত্তর দেব না। কে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? হরিদাস পাল একটা’।
এরপর ‘চাকরি বিক্রি’ নিয়ে সরব হন অভিজিৎ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে করা মন্তব্যের রেশ টেনে প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, ‘কত রেটে চাকরিগুলো বিক্রি করেছেন? ২০২১ সাল থেকে তাঁরা জানতেন যে চাকরি বিক্রি হচ্ছে। কেন তিনি আটকাননি? কারণ সেখানে তাঁর ইন্টারেস্ট ছিল। চাকরি বিক্রি থেকে তিনি লাভবান হয়েছেন। নিশ্চয়ই হয়েছেন। তিনি এবং তাঁর ওই ছ্যাঁচড়া ভাইপো! এই জন্যই আমি রেট জানতে চেয়েছি’।
আরও পড়ুনঃ ভোটের মধ্যেই তৃণমূল বিধায়ককে খুনের হুমকি! ঝাড়খণ্ড থেকে আসছে ফোন, পুলিশের দ্বারস্থ জাকির
সম্প্রতি আবার তমলুকে দাঁড়িয়ে অভিজিৎকে ‘দেশদ্রোহী’ বলেছেন অভিষেক। সেই বিষয়ে প্রাক্তন বিচারপতিকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দুর্বৃত্ত আমায় দেশদ্রোহী বলছেন, তাতে আমার উত্তর দেওয়ার মতো কিছু নেই। অভিষেক নিজে কী করেন? ওনার কীসের ব্যবসা? কেউ জানে? অত কোটি টাকার বাড়িটা কোথা থেকে আসে? লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কী ব্যবসা? আজ অবধি উত্তর দিতে পেরেছে? কীসের কনসালট্যান্সি করে? চুরির কনসালট্যান্সি? এছাড়া কী করে?’
এরপর কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর মিলে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আনেন অভিজিৎ। প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, ‘কালীঘাটের কাকু কী বলেছেন? তাঁর কণ্ঠস্বরের সঙ্গে তো মিলে গিয়েছে। এবার দেখুন কী বেরোয়। কার কার নাম আসছে না আসছে। একজন জেলযাত্রী, ক্রিমিনালের কথার আমি উত্তর দেব?’ তাহলে কি চব্বিশের লোকসভা ভোটের পরেই জেলে যাবেন তৃণমূল সেনাপতি? প্রশ্ন করা হয় বিজেপি প্রার্থীকে। জবাবে বলেন, ‘অনেক আগেই যাওয়া উচিত ছিল বলে আমি মনে করি। যে কোনও দিন তাঁর জেলযাত্রা হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। সেটাই আমি বলেছি’।