বাংলা হান্ট ডেস্ক: সোমবার রাজঘাটে (Rajghat) তৃণমূল সাংসদ এবং বিধায়কদের উপর দুর্ব্যবহারের অভিযোগে সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘রাজঘাটের ঘটনা হতাশাজনক ও উস্কানিমূলক। বিজেপির জমিদারি সরকার আমাদের সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে, সেটাও হয়েছে গান্ধী জয়ন্তীর (Gandhi Jayanti) দিন। যে দিন গান্ধীজীর শান্তি ও অহিংসার জন্য উৎসর্গীকৃত। তাদের শুধু অপরাধ মহাত্মা গান্ধীর সত্যাগ্রহের পথে অনুপ্রাণিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের পাওনার জন্য লড়ছে। আমি ওদের প্রভুর কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, জমিদার সরকারের দিন ঘনিয়ে এসেছে এবং জনগণের জয় হবে।’
উল্লেখ্য, সোমবার রাজঘাটে দু’ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ অবস্থানের অনুমতি দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। কিন্তু অভিযোগ, সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সেই জায়গা খালি করা হয়নি। এরপরেই আসরে নামে দিল্লি পুলিশ। পর্যটকদের (Tourist) জন্য সেই জায়গা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই তৃণমূল সাংসদ, বিধায়ক এবং অন্যান্য নেতাকর্মীদের রাজঘাট থেকে সরাতে নামে পুলিশ। সেই সময় ধস্তাধস্তিতে জুতো হারান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu), বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas)। ফোন ‘চুরি’ হয়ে যায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের (Shantanu Sen)। শতাব্দী রায়ও (Satabdi Roy) তাঁর আইফোন খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানান।
অভিষেকের সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন বাঁশি বাজিয়ে এলাকা ফাঁকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। যা নিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় রাজঘাটে। এদিকে মঙ্গলবার দলের কর্মী বা ১০০ দিনের টাকা প্রাপক (MGNREGA) বা আবাস যোজনার (Awas Yojana) টাকা প্রাপকদের যদি গায়ে হাত দেওয়া হয়, তৃণমূল ছেড়ে কথা বলবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন অভিষেক। তার আগে সোমবারের ঘটনায় বিজেপিকে (BJP) তীব্র আক্রমণ করলেন অভিষেক।