বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ উদ্বোধন ছিল চড়িয়াল সেতুর। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর সেখানেই জোরালো ভাষায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ করলেন এই তৃণমূলের নেতা। ঠিক যখন আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে শাসক দলের তৃণমূল স্তরের নেতা থেকে শুরু করে হেভিওয়েটদের নাম এবং টুইটে জোর খোঁচা দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঠিক তখনই মুখ খুললেন অভিষেক।
গেরুয়া শিবিরের পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ শুভেন্দু অধিকারীর “কালো টাকা” প্রসঙ্গে করা মন্তব্যকে ঢাল বানিয়েই কেন্দ্রের দিকে কটাক্ষ করলেন অভিষেক। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের কথায়, ‘কালো টাকার দায় নিতে হবে কেন্দ্রকেই।’ পাশাপাশি তার আরোও বক্তব্য ‘কালো টাকা ধ্বংসের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, ৫০ দিন সময় চেয়েছিলেন। বেঙ্গালুরু, বাংলায় কালো টাকা উদ্ধার হচ্ছে, এর দায় নিতে হবে কেন্দ্রকেই।’ সব মিলিয়ে বলা যায়, ‘কালো টাকার’ প্রসঙ্গে কেন্দ্রকেই ঘুরিয়ে প্যাঁচে ফেললেন তিনি।
তবে আর্থিক তছরূপ প্রসঙ্গ ছাড়াও অভিষেক চড়িয়াল সেতুর উদ্ধোধন বিষয়েও বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘৫০ বছর ধরে চড়িয়াল ব্রিজের দাবি ছিল। ডায়মন্ডহারবারের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। ৬ মাসের মধ্যে চড়িয়াল ব্রিজের বাকি কাজ সম্পূর্ণ হবে। করোনার কারণে দু বছর কাজ শেষ হতে দেরি হয়েছে। সর্বনাশা বন্ধ মানুষ সমর্থন করে না, সেইজন্য আজ উদ্বোধন করলাম।’ এছাড়াও, হেরে যাওয়া বিধানসভা কেন্দ্রেও যে শাসকদল বিভিন্ন প্রকল্প চালু রাখবে সেই বিষয়েও স্পষ্ট বার্তা দেন।
অপরদিকে, অভিষেক, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে বলেন, ‘বাংলায় মুখ থুবড়ে পড়ার পর বাংলার পাওনা টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি। বাংলার ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি পাওনা টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। প্রকল্পের ৬০ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্র, বাকি ৪০ শতাংশ টাকা দেয় রাজ্য সরকার। গা-জোয়ারি, জোরজবরদস্তি করে টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র।’ পাশাপাশি, মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে অভিষেকের সংযোজন, ‘যাঁরা ডিএ নিয়ে আন্দোলন করছেন তাঁদের বলব বাংলার বকেয়া টাকা নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করুন।’