বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ঈশ্বরের রূপ দেখতে পায়, তাই স্লোগান দেয়! ‘জয় শ্রী রাম” নিয়ে সরব অভিষেক

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি। ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সামনেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেন এবং সেইসঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারকে জোরালো ভাষায় কটাক্ষ করেন। আর এই নিয়েই এবার মুখ খুললেন খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Avishek Banerjee)। স্পষ্ট ভাষায় জবাব দিলেন তপসিয়ায় তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধনের সময়।

এই ঘটনার প্রসঙ্গেই তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে তাঁর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন যে, কোনো বড় সরকারী অনুষ্ঠানে এরম বিরূপ মন্তব্য করা খুবই লজ্জাজনক। যাঁরা ভুল করেন তাঁদের উচিৎ সংশোধন করার। কিন্তু তাঁরা ভুল করেও শিক্ষা নেন না। তাই তাঁদের কিছুই আর বলার নেই তাঁর। তিনি এই বিষয়ে আরও জোর দিয়ে কটাক্ষ করে বলেন যে বিজেপি নাকি রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে আর তাই তাঁরা আজ এসব বলে চলেছে।

অভিষেকের কথায়, “বোঝাই যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোনো দলই নিজের এইটুকু জায়গা ছাড়তে রাজী নয়। জোর কদমে চলছে একে অন্যকে টক্কর দেওয়ার চেষ্টা। অভিষেক আরও বলেন যে, সাধারণ মানুষ আজ পর্যন্ত কোনো সরকারী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর নামে জয়ধ্বনি দিতে শুনেছেন কি? এতো কিছু হারাবার পরেও বিজেপির নাকি কোনো শিক্ষাই হয়নি।”

abhishek

একই সঙ্গে তিনি ব্যঙ্গ করে আরও বলেন যে, বিজেপি হয়তো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মধ্যে ঈশ্বরের রূপ বা তিনি যে ঈশ্বরের অংশ তা বুঝতে পেরেছে, আর তাই তাঁরা ‘জয় শ্রীরাম’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলো। কিন্তু এই স্লোগানে তো আর মানুষের পেট ভরবে না। তিনি ২০১৮-এর আবাস দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন যে সেই সময়ে সবচেয়ে বেশী দুর্নীতি হয় পূর্ব মেদিনীপুরে, এবং এতে জড়িত ছিলেন খোদ শুভেন্দু অধিকারী। আর এই জন্য তিনি কাঁথির মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি এর জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ধন্যবাদ জানান কারণ তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যে কাজ করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর