বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এক বছরের বেশি সময় থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে তোলপাড় বাংলা। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে জেলবন্দি রয়েছেন কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। এই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে চার্জশিটে (Charge Sheet) বিস্ফোরক দাবি ইডি-র। ১২৬ পাতার চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
অন্যদিকে ওই চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে অভিষেকের নামও। ইডির চার্জশিটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নামের উল্লেখ করে চার্জশিটের ২২ নম্বর পাতায় কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই কালীঘাটের কাকু।
নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) মামলায় চার্জশিটে, প্রথমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে ইডির দাবি, যুব তৃণমূলের তৎকালীন সভাপতি অভিষেকের সমস্ত আর্থিক বিষয় দেখাশোনা করতেন এই কালীঘাটের কাকুই। চার্জশিটের ২২ নম্বর পাতায় রয়েছে অভিষেকের নাম।
চার্জশিটে একাধিক তোলপাড় করা দাবি তদন্তকারীদের। কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে অভিষেকের সম্পর্ক, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানি এস ডি কনসালটেন্সির যোগ এই সবের উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। অন্যদিকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিস থেকেই এস ডি কনসালটেন্সির কাজকর্ম পরিচালনা করার পাশাপাশি তার বিনিময়ে বিপুল অংকের টাকা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে গেছে বলেও চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির।
অন্যদিকে, ১২৬ পাতার চার্জশিটের ২৬ নং পাতায়, সুজয়কৃষ্ণের বয়ানেরও কিছু অংশ তুলে ধরেছে ইডি। কালীঘাটের কাকু জানিয়েছেন, তিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের একজন কর্মী ছিলেন। চার্জশিটে এমনটাই দাবি ইডির।
অন্যদিকে, গোয়েন্দাদের মতে নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মুখ্য চরিত্র এই কালীঘাটের কাকু। আর তিনিই নাকি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা মানিক ভট্টাচার্যের কাছে পৌঁছে দিতেন। শুক্রবারই কাকুর বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে উল্লেখ ইডির। তবে ঠিক কী ধরনের বার্তা নিয়ে যেতেন সুজয় তা নিয়ে স্পষ্ট মতো কিছু বলা হয়নি।
এখানেই শেষ নয়! চার্জশিটে গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ, খাস কালীঘাটে একেবারে তৃণমূলের দলীয় পার্টি অফিসে বসে চাকরি বিক্রির আখড়া বসাতেন সুজয়কৃষ্ণ। কালীঘাট বলতেই সকলের মাথায় আসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া! ইডির দাবি মমতার পাড়াতে বসেই অবাধ ভাবে চাকরি বিক্রি চালাতেন সুজয়কৃষ্ণ। শুক্রবার পেশ করা চার্জশিটে ইডির আরও দাবি, তৃণমূল অফিসে বসেই চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন সুজয়। চলত চাকরি বিক্রির মিটিং।