বাংলা হান্ট ডেস্ক : দিল্লির মসনদ কার? NDA নাকি I.N.D.I.A-র? নির্বাচনের আগে এই বিষয়ে জল্পনার শেষ নেই রাজনৈতিক মহলে। যদিও বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা বলছে, আসন্ন নির্বাচনে BJP নেতৃত্বাধীন জোট NDA-র পাল্লাই ভারি। আসন্ন নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিজয়রথ থামায় এ সাধ্যি কারোরই নেই। সম্প্রতি এই নিয়েই একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল বাংলার দুই স্বনামধন্য মিডিয়া চ্যানেল আর প্লাস এবং বাংলা হান্ট।
যে সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলার নামি দামী নেতারা। সেখানেই বিরোধী জোটকে কার্যত ধুয়ে দিলেন বিজেপির অভ্র সেন। এইদিন প্রথম থেকেই বিরোধীদের আক্রমণ করে চললেন তিনি। ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে সার্কাস জোটের সাথে তুলনা করলেন তিনি। অবশ্য মহাগঠবন্ধনকে ‘সার্কাস’র সাথে তুলনা করার জন্য যথেষ্ট কারণও দর্শালেন তিনি।
মহাজোটের সামরিক সংকল্পের স্মারকপত্র হাতে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার হাতে রয়েছে ইন্ডি জোটের সামরিক সংকল্প। এই সামরিক সংকল্পে তারা খুব মজার মজার কথা লিখেছেন। যার মধ্যে একটা কথা আমার খুব মন ছুঁয়ে গেছে। যেটা হল, কেন্দ্রীয় কিছু এজেন্সি কেন করাপশনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে? সেটা নাকি প্রচন্ড অন্যায়। আর্মির জমি বিক্রি করে দেওয়া হবে। ৬০০ কোটির দুর্নীতি হবে। কিন্তু তাদের ধরা যাবেনা।’
আরও পড়ুন : বিতর্কের মাঝেই বাড়ল বিপদ, কড়া শাস্তির মুখে পান্ডিয়া! হার্দিকের বিরুদ্ধে কঠোর হল BCCI
ব্যাঙ্গ করে তিনি বললেন, ‘এরকম দুর্নীতি যেন বারবার ঘটে এবং তাতে ভারতীয় জনতা পার্টি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে কিছুই বলা চলবেনা।’ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রসঙ্গ টেনে অভ্রর কটাক্ষ, ‘কেন তাকে অ্যারেস্ট করা হবে? প্রচন্ড অন্যায় কাজ করা হয়েছে। তবে মজার বিষয় হল, কিছুদিন আগে এই কংগ্রেস পার্টিই কেজরিওয়ালকে মার্কামারা চোর বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন। কংগ্রেসই দাবি করেছিল, আবগারী দুর্নীতির টাকা থেকে মোট ১০০ কোটি টাকা গোয়ার ইলেকশনে খরচ করেছে ‘আপ’। অথচ আজ যখন দেশের কোনও কোর্ট কেজরিওয়ালকে সুরক্ষাকবচ দেয়নি তখন কংগ্রেসের বড় বড় নেতারা বলছেন, এটা নাকি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এই কারণেই আমি বলছিলাম এটা সার্কাস পার্টি’।
আরও পড়ুন : মহুয়ার এনার্জির উৎস ‘সেক্স’? নিজেই জানালেন তৃণমূল প্রার্থী, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড়
তিনি আরও বলেন, এরকম কঙ্কালসার, অন্তঃসারশূন্য একটা দল দেশ চালাতে পারেনা। একই সাথে এইদিন অভ্র সেনের নিশানায় ছিল, তৃণমূল কংগ্রেসও। তিনি বলেন, ‘তারা ভারতীয় দলকে বলে কী না বহিরাগত পার্টি। দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই বাংলায় এলে তারা হয়ে যান বহিরাগত। কিন্তু ফাঁকা ব্রিগেডে ক্যাট ওয়াকের সময় বিহার, গুজরাট থেকে লোক এল। তখন তারা আর বহিরাগত নয়। তাদেরকে ভোটে দাঁড় করালো তৃণমূল কংগ্রেস। এমন জোচ্চোর দল দিয়ে দেশ চলেনা।
আরও পড়ুন : বড় ঝটকা ধোনির দলে, মুস্তাফিজের পর ছিটকে গেলেন কোনওয়েও! বদলে বুড়ো পেসারকে নিল CSK
এরপরেই অভ্রর তীর ঘুরে যায় বামফ্রন্টের দিকে। তীব্র কটাক্ষ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ যারা নিচে নামতে নামতে একেবারে মহাশূন্যে পৌঁছে গেছেন। তাদের নীতিকথা বন্ধ হয়না। তবে আমি একবার কেবল কেরালার দিকে তাকাতে বলব। সেই রাজ্যের আর্থিক অবস্থা কোথায়? এরা পেট্রোপণ্যের দাম নিয়ে কথা বলে অথচ কেরালার পেট্রোলের দাম ১০৭ টাকা। বড় বড় নীতিকথা বলে সেটা কমাতে পারছেনা? কেরালার অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই নীচে নেমে গেছে যে কেন্দ্রীয় সরকার ৫ হাজার কোটি সাহায্যের কথা বলেছে। জবাবে কেরালা বলেছে ৫ নয়, ১০ হাজার কোটি টাকার অনুদান দিন।’