বাংলাহান্ট ডেস্ক: ফেলুদা ও ব্যোমকেশ (Byomkesh) অনুরাগীদের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। যদিও দুই গোয়েন্দাকে নিয়ে বড়পর্দায় ছবি হলে তা অবশ্য দেখতে বাকি রাখেন না কোনো পক্ষই। ইতিমধ্যেই ফেলুদাকে পর্দায় ফেরত আনার খবর ঘোষনা হয়ে গিয়েছে। বাদ নয় ব্যোমকেশও। এসভিএফের তরফে খুব শীঘ্রই পর্দায় ফিরবেন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সত্যান্বেষী। অভিনয় করবেন আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee)।
উল্লেখ্য, শুধু ব্যোমকেশ নয়, আবিরকে আরো এক গোয়েন্দার চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। তিনি সোনাদা। এসভিএফের তরফেই আসছে ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’। সেখানেই সোনাদা রূপে আবারো দেখা মিলবে আবিরের। বুধবার প্রযোজনা সংস্থায় দু দুটি ছবির একসঙ্গে মহরৎ।
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত উপন্যাস ‘বিশুপাল বধ’ অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে ব্যোমকেশ। এই নিয়ে চতুর্থ বার ব্যোমকেশের গল্প পর্দায় আনছেন পরিচালক অরিন্দম শীল। সত্যবতীর ভূমিকায় দেখা যাবে সোহিনী সরকারকেই। তবে অজিতের চরিত্রে থাকছে চমক।
এবারে ব্যোমকেশ রূপী আবিরের পাশে নতুন অজিত হচ্ছেন অভিনেতা সুহোত্র মুখোপাধ্যায়। এর আগে ‘গোরা’র সহকারী রূপে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। গোরা চরিত্রে ছিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। অদ্ভূত ভাবে অজিত চরিত্রেও আগে দেখা গিয়েছিল ঋত্বিককেই। এবার তাঁর অনস্ক্রিন সহকারীই হলেন ব্যোমকেশের সহকারী।
সুহোত্র বলেন, যেমন আনন্দ হচ্ছে তেমনি ভয়ও লাগছে। কারণ এটাই আবির ও অরিন্দম শীলের সঙ্গে তাঁর প্রথম কাজ। তবে তিনি আশাবাদী, কাজ করতে করতেই ভয়টা কেটে যাবে। এর আগে ঋত্বিক চক্রবর্তী অজিতের চরিত্রে নিজস্ব অভিনয়ের ম্যাজিক দেখিয়েছেন। সুহোত্র জানান, তিনি নিজের মতো চেষ্টা করবেন সেরাটা দেওয়ার। ব্যোমকেশের উপন্যাসগুলি পড়েও তিনি অজিতের চরিত্রটি বোঝার চেষ্টা করছেন।
তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর