এখন মাঝরাতেও ‘নো চিন্তা’! কলকাতা এয়ারপোর্ট থেকে চালু হচ্ছে এই ‘বিশেষ পরিষেবা’, হাওড়া যেতে পারবেন সহজেই

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এতদিন যাত্রীদের অভিযোগ ছিল কলকাতায় বিমানবন্দরে রাত্রিবেলা কোনও রকম বাস কিংবা প্রিপেইড ট্যাক্সে পরিষেবা পাওয়া যেত না। এবার যাত্রীদের সেই অভিযোগের সমাধান করতে উদ্যোগী হল রাজ্য পরিবহন দপ্তর ও বিধান নগর পুলিশ। সূত্রের খবর আজ অর্থাৎ সোমবার থেকে রাতে এসি বাস (AC Bus) পরিষেবা শুরু হচ্ছে বিমানবন্দর-হাওড়া (Kolkata Airport-Howrah) ও বিমানবন্দর-টালিগঞ্জ রুটে।

রাজ্য পরিবহন দপ্তর সূত্রে খবর, আপাতত কিছুদিন রাত দশটা থেকে এক ঘন্টা অন্তর মধ্য রাত পর্যন্ত এই বাসগুলির চলাচল করবে। এরপর যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বাস অপারেটররা বাসগুলির সময়সীমা বা ফ্রিকোয়েন্সি বদল করতে পারেন। বর্তমানে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত AC 39 ও VS 2 নামের দুটি এসি বাস সকাল সাতটা থেকে রাত ৯ টা ৩০ পর্যন্ত যাতায়াত করে।

সপ্তাহান্তে এই পরিষেবা পাওয়া যায় রাত দশটা পর্যন্ত। অন্যদিকে, কলকাতা বিমানবন্দর ও টালিগঞ্জের মধ্যে যে ভি ওয়ান নামক বাস চলে সেটির পরিষেবা রাত আটটা পর্যন্ত পাওয়া যায়। বিমানবন্দর থেকে গড়িয়ার উদ্দেশ্যে এসি বাস সন্ধ্যা ৬:৪৪ এ বেরিয়ে যায়। অন্যদিকে, ধর্মতলা ও গল্ফ গ্রিনের উদ্দেশ্যে বাসগুলি বিমানবন্দর থেকে সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যেই ছেড়ে বেরিয়ে চলে আসে।

অভিযোগ বাসের পাশাপাশি একটু রাত হলেই বিমানবন্দর থেকে মূল কলকাতায় ঢোকার জন্য পাওয়া যায় না ক্যাব বা প্রিপেড ট্যাক্সি। জানা গিয়েছে আজ বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার গৌরব শর্মা পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে রাত দশটা নাগাদ বিমানবন্দরের এসি বাস টার্মিনাস থেকে এই পরিষেবা উদ্বোধন করবেন।

bus ticket check wbtc

 

বিধাননগর কমিশনারেটের এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “গত এক বছরে কলকাতা বিমানবন্দরে যে পরিমাণ যাত্রী বৃদ্ধি পেয়েছে সেই হিসাব থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে বাস পরিষেবা বৃদ্ধি করার। বিশেষ করে যাতে রাত্রিবেলা দক্ষিণ কলকাতা বা হাওড়ায় যাত্রীরা সহজেই পৌঁছাতে পারেন সেই কথা মাথায় রাখা হয়েছে। আমরা পরিবহন দপ্তরের কাছে তাই রাত্রিবেলা বাস চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিলাম। রাত্রিবেলা বাস চালানোর অনুমোদন দিয়েছে পরিবহন দপ্তর।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর