বাংলাহান্ট ডেস্ক : ক্যালেন্ডার অনুসারে বর্ষা পা রেখেছে বঙ্গে। কিন্তু বৃষ্টি কোথায়? প্রচন্ড গরমের মধ্যে স্কুলগুলিতে আসতেই চাইছেন না পড়ুয়ারা। স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার এতটাই কম যে কাদের নিয়ে ক্লাস করাবেন ভেবেই কুলকিনারা পান না শিক্ষকরা। তাই পড়ুয়াদের বিদ্যালয়ের প্রতি আকর্ষিত করতে এসি বসালেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি (Kandi) মহকুমার রসোড়া অম্বিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
গরমের ছুটি শেষ হয়ে গেলেও বিদ্যালয় গুলিতে দেখা মিলছিল না পড়ুয়াদের। তার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের তীব্র তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। সব মিলিয়ে পড়াশোনার পাঠ শিকেয় উঠেছিল বলা চলে। রাজ্যের অন্যান্য বিদ্যালয়গুলির মত পড়ুয়াদের দেখা মিলছিল না রসোড়া অম্বিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। সকালবেলা স্কুল চালু হলেও বিশেষ লাভ হয়নি। এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়ুয়ারা যাতে বিদ্যালয়ে আসে, সেই ভাবনা চিন্তা থেকেই নিজেদের খরচে বিদ্যালয়ে এসি বসানোর সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষকরা। সব মিলিয়ে আটটি এসি বসানো হয়েছে।
আরোও পড়ুন : বউবাজারের পর সন্দেহের বশে সল্টলেকে পিটিয়ে খুন যবক! থমথমে গোটা এলাকা
এসি বসানোর পর কি পড়ুয়ারা বিদ্যালয়ে আসছে? রসোড়া অম্বিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জানান, পড়ুয়াদের উপস্থিতি বাড়ছে এসি বসানোর পর থেকে। বাড়িতে গরম হলেও স্কুলে ঠান্ডা। তাই বিদ্যালয়ে চলে আসছে ছাত্র-ছাত্রীরা। “প্রচণ্ড গরমের ভয়ে স্কুলে আসছিলাম না। এখন তো স্কুলেই ঠান্ডা। বাইরে ৪০ ডিগ্রি আর স্কুলে ২৪ ডিগ্রি। এখন স্কুলে আসতেই ভাল লাগছে”, বলে জানান তন্বী ঘোষ নামে এক পড়ুয়া।তবে হঠাৎ করেই এমন এসি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
কান্দি পুরসভার চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বিধায়কের থেকে অনুমতি গ্রহণের পর, পরিচালন সমিতি ও শিক্ষকদের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে বসানো হয়েছে এসি। শিক্ষকরা নিজেদের বেতনের টাকা খরচ করে এসি কিনেছেন। এক্ষেত্রে খরচ হয়েছে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। ঋণ শোধের দায়িত্বও নিয়েছেন শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপ্তেন্দু ধর জানান, “আরামদায়ক পরিবেশে ছাত্রছাত্রীরা যাতে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে পারে, তাই এই ব্যবস্থা। শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে।”