বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকবছর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের একটি জনসভায় মঞ্চে উঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সপাটে চড় মেরেছিল তমলুকের বাসিন্দা দেবাশিস আচার্য নামের এক যুবক। আজ সকালে তাঁর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তৃণমূলই দেবাশিস আচার্যকে খুন করেছে। যদিও, শাসক দল তৃণমূল বিজেপির সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।
তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি নবারুন নায়েক বলেন, ‘বুধবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন দেবাশিস। আজ সকালে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁর সংজ্ঞাহীন দেহ তমলুক হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাঁর গলা আর মাথায় ক্ষত চিহ্ন ছিল। এরপর দুপুরেই তাঁর মৃত্যু হয়ে।” ঘটনার খবর জানাজানি হতেই হাসপাতালে ছুটে আসে মৃত বিজেপি নেতার পরিবার। পাশাপাশি পুলিশের একাধিক কর্তাও তমলুক হাসপাতালে যান।
পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। কে বা কারা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আর তাঁর সঙ্গে কী হয়েছিল, সেটা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছে পুলিশ। তবে বিজেপির তরফ থেকে এই ঘটনাটিকে খুন বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। আর গেরুয়া শিবির এই ঘটনার জন্য সরাসরি তৃণমূলকেই দায়ী করেছে।
বলে দিই, ২০১৫ এর ৪ জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীতলায় একটি সভা ছিল তৃণমূলের। সেই সভার মুখ্য বক্তা ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মঞ্চে উঠে কয়েকটা ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা অখিল গিরি সহ অনেকেই। আর সেই সময় দেবাশিস ছবি তোলার অছিলায় অভিষেকের একবারে সামনে চলে যায়, আর তাঁকে কষিয়ে চড় মারে। এমনকি ঘুষিও মারে সে।
এরপর তৃণমূল কর্মীরা দেবাশিস ধরে বেধড়ক মারধোর করে। এলাকা জুড়ে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে তাঁদের উপর ইট ছোঁড়া হয়। তমলুকের SDPO সমেত ১২ জন পুলিশ কর্মী ওই ঘটনায় আহত হন। দেবাশিসকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুকের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।