CAA বিরোধের নামে দিল্লীতে (Delhi) যে উপদ্রব শুরু হয়েছে তা খুবই হিংসাত্মক রূপ নিয়েছে। আজ একদিকে যখন দেশে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অথিতি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন তখন দিল্লীর এক প্রান্ত পুরোপুরি স্থগিত হয়ে পড়েছে। দিল্লির উত্তরপূর্ব এলাকায় কট্টরপন্থীদের উপদ্রবের কারণে ব্লকের পরিস্থিতি উৎপন্ন হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ ১৪৪ ধারা লাগু করে রেখেছে। জেহাদি কায়দায় পাথর ছোড়া থেকে শুরু করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরেরর মতো উপদ্রব ব্যাপক হারে চলছে। CAA এর বিরোধের নামে উন্মাদীরা বেশকিছু জায়গায় পেট্রোলপাম্প লুটপাট করে জ্বালিয়ে দিয়েছে, মন্দিরে হামলা করা হয়েছে। শুধু এই নয় পাথর ছুঁড়ে এক পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে।
কট্টরপন্থীরা দিল্লী পলিশের এক হেড কনস্টেবল রতন লালকে হত্যা করেছে, দিল্লির জাফরাবাদ এলাকায় কট্টরপন্থীরা পলিশের উপর আক্রমন চালিয়েছে। উন্মাদীরা রাস্তায় নেমে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট থেকে শুরু করে রাস্তা আটকের কাজ করছিল। সেই সময় পুলিশ বাধা দিলে কাশ্মীরের জেহাদি কায়দায় পাথর ছোড়া হয়। পাথর ছড়ার সাথে সাথে উগ্র ভিড় পুলিশের উপর বন্দুক তাক করে গুলিও চালায় বলে খবর সামনে এসেছে।
জাফরাবাদ, সিলামপুর, ভজনপুরা অঞ্চলে, 22 ফেব্রুয়ারির রাত থেকেই উন্মাদী সন্ত্রাস করার মানসিকতায় ছিল, তাদের সন্ত্রাসবাদ ছড়াতে বাধা দিতে পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছিল। কনস্টেবল রতন লালও ডিউটিতে গিয়েছিলেন দেশের প্রতি নিজের সেবা দান করার জন্য।
https://twitter.com/KapilMishra_IND/status/1231887297559306242?s=19
সেই সময় CAA এর বিরোধিতার নামে উপদ্রব করা কট্টরপন্থীরা এই হামলা চালিয়ে কনস্টেবল রতন লালকে হত্যা করেছিল। রতন লালের দুটি সন্তান রয়েছে এবং তিনি তাঁর পরিবারের একমাত্র ব্যক্তি যিনি উপার্জন করতেন।
CAA আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে থাকা সংখ্যালঘুরা ভারতে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু এই আইনের বিরুদ্ধে ভারতের মুসলিম সমাজের একাংশ খুবই উগ্র হয়ে উঠেছে। এখন CAA এর বিরোধ নিয়ে দিল্লীতে পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে। দিল্লীতে CAA এর বিরুদ্ধে কট্টরপন্থীরা উপদ্রব শুরু করছে। উত্তরপূর্ব দিল্লীতে এখন কাশ্মীরের মতো পরিস্থিতি উৎপন্ন হয়েছে