বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি বছরটা আদৌ ভালো যাচ্ছে না ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির (Gautam Adani) জন্য। ইতিমধ্যেই তাঁর প্রসঙ্গে আরও একটি একটি বড় খবর সামনে এসেছে। মূলত, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পর এবার OCCRP (Organized Crime and Corruption Reporting Project) রিপোর্ট আদানির সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ওই রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে যে, গৌতম আদানি শেয়ারে কারচুপি করেছেন। OCCRP-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আদানি গ্রুপ গোপনে নিজস্ব শেয়ার কিনে স্টক এক্সচেঞ্জে কয়েক লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করেছে।
২০১৩ থেকে ১৮ পর্যন্ত নিজের গ্রুপের শেয়ারে টাকা বিনিয়োগ করেছেন: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ইতিমধ্যেই OOCRP রিপোর্ট Guardian এবং Financial Times-এর সাথে শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে আদানির তরফে করা লেনদেনের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সেখানে মরিশাসে আদানি গ্রুপের লেনদেনের তথ্যও প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট গ্রুপের কোম্পানিগুলি ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গোপনে নিজেদের শেয়ারে টাকা বিনিয়োগ করেছে।
OCCRP মেইলগুলি দেখেছে: ইতিমধ্যেই OCCRP দাবি করেছে যে, তারা মরিশাসের মাধ্যমে হওয়া লেনদেন এবং আদানি গ্রুপের অভ্যন্তরীণ মেইলগুলি দেখেছে। যার মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। এদিকে, OCCRP আরও জানিয়েছে যে, এমন ২ টি বিষয় দেখা গেছে, যেখানে বিনিয়োগকারীরা বিদেশি সংস্থাগুলির মাধ্যমে আদানি গ্রুপের শেয়ার কিনেছেন এবং বিক্রি করেছেন।
আরও পড়ুন: এবার SEBI-র তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য! আদানি গ্রুপের এই কোম্পানিগুলিতে দ্রুত বেড়েছে বিদেশি অর্থ
এই ২ বিনিয়োগকারী দীর্ঘদিন ধরে আদানি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত: এদিকে, ওই রিপোর্টে দুই বিনিয়োগকারীর মধ্যে নাসির আলী শাবান আহলি ও চ্যাং চুং-লিং-এর নাম নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বলা হচ্ছে যে, এই বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘদিন ধরে আদানি পরিবারের সাথে ব্যবসায়িক অংশীদার হিসাবে কাজ করছেন। যদিও, মিডিয়া সংস্থা বলছে, এই দুই বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগের টাকা আদানি গ্রুপ দিয়েছে বলে এখনও কোনো প্রমাণ নেই।
আরও পড়ুন: হিণ্ডেনবার্গের পর আরও একটি ঝড়! বড়সড় ক্ষতি গৌতম আদানির, একদিনেই খোয়ালেন বিপুল অর্থ
জানুয়ারিতে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হিন্ডেনবার্গ: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আমেরিকান শর্ট সেলিং ফার্ম হিন্ডেনবার্গ রিসার্চও আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ করেছিল। হিন্ডেনবার্গ সংশ্লিষ্ট গ্রুপটির বিরুদ্ধে শেয়ারের দামে কারসাজির অভিযোগ আনে। যদিও, পরে আদানি গ্রুপ বিষয়টি অস্বীকার করে। আদানি গ্রুপ জানায় যে, তারা সমস্ত নিয়ম মেনে চলেছে। এদিকে, জানুয়ারিতে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট আসার পরই আদানি গ্রুপের শেয়ারে বড় পতন পরিলক্ষিত হয়। পাশাপাশি, তীব্র ক্ষতির সম্মুখীন হয় আদানি গ্রুপ।